বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চূড়ান্ত ও অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ঘটিকায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যামে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। সকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ মৌসুমি মান্নান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ইলিয়াস আহমদ সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা মুসা, কামাল আহমদ,সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ, সহ- সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সুমন আলী, প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহ আলম,আইন বিষয়ক সম্পাদক, শামীম আহমদ,নির্বাহী সদস্য মোঃ এহসান আহমদ,সাহেন আহমদ,মোঃ জিয়া উদ্দিন, প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়, নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ২৯ বছর ধরে দেশ ব্যাপী সামাজিক কার্যক্রম করে আসছে। দেশ ও বিদেশে সংগঠনের ১২০টি শাখার স্বেচ্ছাসেবী সড়ক যোদ্ধারা রাত-দিন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার স্বীকৃতি স্মরূপ ২২ অক্টোবর জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যুর দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করেছেন, এ জন্য নিসচা কৃতজ্ঞ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে বিশ্বে প্রতিবছর ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
৫০ লক্ষ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে। এশিয়ার দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশে প্রতিবছর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। জাতি সংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যু হার ৫০% কমিয়ে আনতে প্রতিটি দেশকে তাগিদ দিয়েছে। নিসচা’র দাবীর প্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়, এতে জনগণের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও বিধিমালা প্রণীত হয়নি। যার ফলে আইনটি অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ কারণে প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনী সহ কেউই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া জাতিসংঘ সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ৫ পিলার চিহ্নিত করেছে যার মধ্যে, সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিমুক্ত যানবাহন, সচেতন সড়ক ব্যবহারকারী অন্যতম। ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী চালানো ও শিশু আসন। স্মারকলিপির মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন দ্রুত পুরোপুরি কার্যকর করার দাবী জানান নিসচা নেতৃবৃন্দ।