বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের জন্মদিন! তাই ধূমধাম আয়োজন। নারী-পুরুষ শিল্পীদের নিয়ে করা হয়েছে কনসার্টও। আর এর সবকিছু অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি সরকারি বিদ্যালয়ের হলরুমে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে রাতভর উদ্দাম নাচ-গানের এমন আয়োজন করে বিতর্কের মুখে ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান মোস্তফা।
যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, নাচ-গানের বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। শুধুমাত্র কেক টাকার কথা বলে অনুমোদন নেন সজিব। আর শিক্ষা কর্মকর্তা বললেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে একজন জনপ্রতিনিধির জন্মদিন পালন ও নাচ-গান করা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) ছিল হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিবের জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে নিজের কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে কেক কাটা, খানাপিনা ও কনসার্টের আয়োজন করেন তিনি। এইসব আয়োজন চলে আজমিরীগঞ্জ এম্যালগেটেড বীর চরণ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে। বুধবার রাত ১১টায় হলরুমের ভেতরে কেক কাটার পাশাপাশি চলে নারী-পুরুষ শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট আর উদ্দাম নাচ।
অভিযোগ ওঠেছে, মদ খেয়ে উদ্দাম নাচগান করেন সেখানে উপস্থিত যুবকরা। যাদের সিংহভাগ ছিল বখাটে। নাচ গানের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়। সেটি প্রচারের পর বিতর্কের মুখে পরেছেন ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান মোস্তফা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান সজিব উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বলেন, ‘আপনাদের সাম্বাদিকদের আর কোন কাজ নাই। কেডায় কিতা করল- খালি ইতা খুইজ্জা বেড়াইন। আমি কেন এখানে জন্মদিন পালন করছি সেটা খোঁজেন গিয়া। আমি কিছু কইতে চাই না। আপনার লেখার ক্ষমতা আছে, আপনার বিবেক আছে, আপনে যা খুশি লেখইন গিয়া।’
আজমিরীগঞ্জ এম্যালগেটেড বীর চরণ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান মোস্তফা বলেন, ‘ভাইস চেয়ারম্যান সজিব আমার স্কুলের ছাত্র। যুবলীগের ছেলেরা তার জন্মদিনের কেক কাটবে বলে আমার কাছ থেকে হলরুম ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছে। তবে রাতে তারা গানবাজনা করছে এটা আগে আমাকে বলেনি। এজন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে কোন রাজনীতি বা জনপ্রতিনিধির জন্মদিন পালন বা কনসার্ট করতে পারবেন না। বিষয়টি আমি শুনেছি। ছুটির পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, ‘স্কুলের হলরুমে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র : সিলেট ভয়েস