বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট। বিদেশে থাকা মানুষ জায়গাজমিসহ নানা সমস্যার সম্মুখিন হন।
ভোক্তভোগী প্রবাসীরা দেশে এসে কিংবা প্রবাসে থেকে আইনী সহায়তা দিতে হটলাইন নম্বর চালু করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের আওতায় হটলাইন নম্বর ০১৩২০-১১৭৯৭৯ চালু করা হয়েছে।
এখন থেকে সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা এই নম্বরে নিজেদের অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সহায়তা চাইতে পারবেন প্রবাসীরা। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের দায়িত্বে থাকবেন নারী পুলিশ সদস্যরা।
তাদের কাছ থেকে অভিযোগ জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে কিংবা তাৎক্ষনিক সেবা দেবে সিলেট জেলা পুলিশ।
এদিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সিলেটের নবাগত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ অঞ্চলের বহু সংখ্যক মানুষ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। দেশে জায়গাজমিসহ নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এসব সমস্যার কারণে আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের দ্বারা হয়রানীর শিকার হন। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্টভাবে তাদের অভিযোগ অনুযোগের কথা জানানোর সুযোগ পান না। তাছাড়া অনেক দেশে প্রবাসীরা যখন কাজে থেকে ফেরেন, তখন বাংলাদেশে রাত হয়ে যায়। এ জন্য তাদের সুবিধার্থে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে হটলাইন নাম্বার খোলা হয়েছে। এই নম্বরে হোয়াটঅ্যাপ, ভাইবার রয়েছে। রাত-দিন যেকোনো সময়ে তারা পুলিশের সেবা নিতে পারবেন। তাছাড়া নারীরা মায়ের জাতি, তাদের ধর্য্যশক্তি বেশি, সে কারণে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে হটলাইন নম্বরে ২৪ ঘণ্টা নারী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি প্রবাসে থাকা এ অঞ্চলের মানুষ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্নবোধ করেন। সে জন্য সিলেটের ভাষা বলতে পারেন, বুঝতে পারেন, এমন নারী পুলিশ সদস্যরা হেল্প ডেস্কে হটলাইনে দায়িত্ব পালন করবেন।
হটলাইন নাম্বার চালুর মাধ্যমে সিলেট জেলা পুলিশের সঙ্গে প্রবাসীদের একটি সেতুবন্ধন তৈরী হবে, এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি বলেন, ‘পূর্বের কর্মস্থলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে চাই, সিলেটে যেসব অভিযোগ পড়বে, সেগুলোর মধ্যে কোন ধরনের অভিযোগ বেশি। তাহলে সমস্যা নিরসনের চেয়ে আগে কারণ জানা জরুরি। তবেই উৎপত্তির আগে সমস্যার নিরসন সম্ভব হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই সেবার পাশাপাশি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে কাউকে হয়রানীর শিকার না হতে হয়। এমনকি কেউ যদি ফরম ফিলাপ করতে না পারেন, এমন লোকজনের সহায়তায় ডাটাএন্ট্রি অপারেটর সহযোগীতা করবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা এ ক্ষেত্রে সহযোগীতায় কাউকে এক টাকাও দিতে হবে না।