বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : এতিম বর-কনের জমকালো বিয়ে নিয়ে হবিগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবারে ছিল উৎসবের আমেজ। সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই চলে শামীম ও রেহেনার বিয়ের নানা আয়োজন। নানা রঙে সাজানো হয় শিশু পরিবার প্রাঙ্গণও। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিশিষ্টজনরা এ ব্যতিক্রমী আয়োজনে উপস্থিত হন। এতে চরম খুশি বর-কনেসহ অতিথিরা।
ব্যতিক্রমী এ বিয়েতে দুপুর থেকেই সমাজের বিত্তবানরা নানা উপহার নিয়ে উপস্থিত হন। দুপুর দুইটার দিকে হাজির হন বর শামীম। কনেপক্ষের তরুণ-তরুণীদের দাবি মিটিয়ে ফিতা কেটে বিয়ের আসরে বসেন বর। বরকে দেয়া হয় ফ্রিজ, শোকেস, খাটসহ নানা উপহার সামগ্রী। অতিথিদের উপস্থিতিতে কাজী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। পরে আপ্যায়নে অংশ নেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ অতিথিরা।
জানা যায়, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মকসুদপুর গ্রামের শামীম মিয়া অল্প বয়সেই গ্রাম্য দাঙ্গায় পিতৃহারা হয়ে আশ্রয় নেয় হবিগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবারে। একইভাবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রুহেনা বেগম পিতৃহারা হয়ে আশ্রয় নেয় শ্রীমঙ্গল সরকারি শিশু পরিবার বালিকায়। শামীম কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন এবং রুহেনা এসএসসি পাস করেন। সমাজ সেবা অধিদফতরের বার্ষিক খেলাধুলায় অংশ নিতে গিয়ে এক অপরের পরিচয় হলে শামীম মিয়া বিষয়টি তার প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানান। পরে উভয় জেলার কর্মকর্তারা আলাপ-আলোচনা করে বিয়ের আয়োজন করে।
পরে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সিদ্ধান্তে ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবারে আয়োজন করা হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী বিয়ের। এতিম বর ও কনের এই ব্যতিক্রম আয়োজনে আনন্দিত উভয়ের পরিবার।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের ভালো কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কেউ যাতে নিজেকে অসহায় মনে না করে তার জন্যই এই আয়োজন। সকলে মিলে এ ধরনের ভালো কাজ করতে পারলে আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
নব দম্পতিদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।