বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো মিলছেনা গ্যাস। সেপ্টেম্বর মাসের গ্যাসের নির্ধারিত বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় উপজেলার সিএনজি স্টেশনগুলো গ্যাস সরবরাহ করতে পারছেনা। (মঙ্গলবার- ২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ফিলিং স্টেশনে গিয়ে সরবরাহ না পেয়ে গাড়িকে ফিরতে হয়েছে গ্যাস ছাড়াই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ির চালক-যাত্রীরা।
বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। অনেক পরীক্ষার্থীকে আজ সকালে হেঁটে হেঁটে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলায় ৩টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে গোলাপগঞ্জের ৩টি পাম্পেই মিলছে না গ্যাস। নির্ধারিত বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ৩টি পাম্পেরই কর্তৃপক্ষ বলছে- আগামী ৩-৪ দিন এ সংকট থাকতে পারে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অথবা ১ অক্টোবর নতুন করে বরাদ্দ মিললে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।
জানা যায়, সিলেট জেলার প্রতিটি পাম্পেই নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক গ্যাস বরাদ্দ দেয় জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি। কিন্তু মাস শেষের আগেই জেলার অনেক পাম্প বরাদ্দকৃত গ্যাস বিক্রি করে দেয়। ফলে মাস শেষের আগেই গ্যাস সংকটে পড়ে এসব পাম্প।
গোলাপগঞ্জের সিএঞ্জি অটোরিকশা চালক সুমন আহমদ জানান, গাড়িতে গ্যাস ভরতে প্রায় ১ঘন্টা লাইনে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ পাম্প কর্তৃপক্ষ জানায় যে গ্যাস নাই। তাদের মাসের বরাদ্দ নাকি শেষ হয়ে গেছে। গোলাপগঞ্জের সব গ্যাস পাম্পে একই অবস্থা বলেও জানা তিনি।
সানু আহমদ নামের আরেক সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, গাড়িতে গ্যাস নেই। পাম্পগুলোতে নেই গ্যাস। আজ গাড়ি বন্ধ রাখতে হবে। এ মাসে গ্যাস না পেলে দুই তিনদিন গাড়ি বন্ধ রাখতে হবে।
রাফসান আহমদ নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত টাইমে বের হয়েছিলাম কিন্তু গাড়ি না পাওয়ায় দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছতে হয়েছে। অনেক পরীক্ষার্থী হেটেও কেন্দ্রে গিয়েছেন।