বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্রদের আবাসিক সুবিধার জন্য রয়েছে ১৬০ আসনের একটি মাত্র ছাত্রাবাস। তবে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ছাত্রাবাসটি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় আবাসন নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ২০১০ সালে দিনেদুপুরে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এ ছাত্রাবাসটি। সে সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ ছাত্রাবাসটিকে বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে সেটি।
সে সময় ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির সংঘর্ষের জেরে ছাত্রাবাসে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সবকিছু। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা না করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেই দায় সারে। আর ১২ বছর পর এ ঘটনার কোনো তথ্যই জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে শিবির কর্মীরা আগুন লাগিয়ে দেয় ছাত্রাবাসটিতে।
আর আগুন সন্ত্রাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাত্রাবাসটি প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয় ২০১৬ সালে। আর বন্ধ থাকায় দেয়ালে শ্যাওলা জমেছে, নষ্ট হতে চলেছে দরজা-জানালা, ঘিরে ধরছে ঝোপ-জঙ্গল। আর আবাসন সুবিধা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা।
সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের তৎকালীন আহ্বায়ক দেবাংশু দাস মিঠু বলেন, দীর্ঘদিনের কুকর্ম ঢাকতে ও ডকুমেন্ট নষ্ট করতে ইচ্ছে করে আগুন সন্ত্রাসীরা এ হোস্টেলে আগুন দেয়।
সিলেট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ জানান, বর্তমানে ওই হোস্টেলের মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছে। আশা করছি, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ছাত্রাবাসটি চালু করা হবে।
১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। ২০১০ সালে দিনেদুপুরে দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দেয় সিলেট সরকারি কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসটি। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এর সংস্কার কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে।
সূত্র : সময় টিভি