বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। এমন অবস্থায় রাতে নেই ঘুম, দিনের কাজে নেই স্বস্তি। গরম আর বিদ্যুতহীনতায় সিলেটে অতিষ্ঠ জনজীবন।
জানা গেছে- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথসহ বিভিন্ন উপজেলায় গত কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে পৌঁছেছে। দিন ও রাতের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেক সময়ই থাকে না বিদ্যুৎ। এ অবস্থায় দৈনন্দিন কাজে ঘটছে বিঘ্ন, রাতে ঘুমোতে পারেছন না মানুষ। বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়েসি নারী-পুরুষের।
ভুক্তভোগিরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলা। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় দেখা মেলে বিদ্যুতে। ভ্যাপসা গরমে নির্ঘোম রাত কাটয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। শনিবার দিনের বেলা বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার পর রাত ১১টার দিকে ফের চলে যায়। রবিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টায় বিদ্যুৎ আসলেও আধা ঘণ্টা পর ফের চলে যায়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টাও স্থায়ী হয়নি বিদ্যুৎ।
এই তীব্র গরমে এমন ঘন ঘন ও লম্বা সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়ে গ্রাহকরা ওসমানীনগর উপজেলার কাশিকাপন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের মোবাইল নাম্বারে বার বার কলে দিলেও সেটি শুধু 'বিজি' দেখায়। ওই অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম)-এর ফোনও বন্ধও পাওয়া যায় বেশিরভাগ সময়। তাই ভুক্তভোগী গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টি জানানোরও সুযোগ থাকে না।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রহকরা সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। এমন অবস্থা বহাল থাকলে রাস্তা অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
ওসমানীনগরের কাশিকাপন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের অধীনে পুরো দক্ষিণ সুরমা ও ওসমানীনগর এবং বিশ্বনাথ উপজেলা আংশিক এলাকা। তাই দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে ওই অফিসের ডিজিএম মুজিবুর রহমানের মুঠোফোনে শনিবার রাত থেকে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এজিএম-এর মুঠোফোনও।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, লোডশেডিংয়ের যে রুটিন রয়েছে এর বাইরে অনিবার্য কারণ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় না। বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া হলে অনেক সময় লাইনের উপর গাছ-পালা পড়ে যায়। এগুলো সরাতে সময় লাগে, তাই বিদ্যুৎ বিভ্রাটও একটু লম্বা সময় হয়ে যায়। এরপরও আমরা গ্রাহকদের অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।
সূত্র : সিলেট ভিউ