বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: এক্সিলেন্স এওয়ার্ড পেলেন গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পাড়ের বাদেপাশা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ইওয়ান হোটেলে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবে, ইউএইর নতুন কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুস্টানে তাকে এ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিতি হন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, কনসাল জেনারেল দেশ বরন্য সাংবাদিক নেতা সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তিবর্গ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী নজরুল ইসলাম। যিনি একবুক স্বপ্ন নিয়ে চাকরিসূত্রে প্রবাসে এসে হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। ভাগ্য পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত করেছেন নিজেকে। সমৃদ্ধ করে চলেছেন নিজ দেশ ও মাটির সুনাম। ১৯৯০ সালের দিকে সেলসম্যান হিসেবে প্রবাসে পাড়ি জমান আজকের এই সফল ব্যবসায়ী। চাকরি নিয়ে বিদেশ বিভূঁইয়ে এলেও স্বপ্ন ছিল ব্যবসার প্রতি। সেই স্বপ্ন পূরণে নিরলস প্রচেষ্টার সঙ্গে সদিচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রম তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে স্বপ্নের শিখরে। চাকরি জীবনের উপার্জন আর অভিজ্ঞতাকে পূঁজি করে ১৯৯৫ সালে থিতু হন নিজের ব্যবসায়।
ব্রাদার্স ড্রিংকিং ওয়াটার তার প্রথম প্রতিষ্ঠান। গল্পের শুরুটা বেশ আগে থেকে হলেও সফলতার শুরু এখান থেকেই। পাঁচ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টেনে এক যুগেরও বেশি সময় এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়েই কাজ করেছেন নজরুল ইসলাম সাহেব ব্যবসায়ীক ক্যারিয়ারের ১৩ বছরে এসে যাত্রা করেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। এই খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে গড়ে তোলেন আরও একটি প্রতিষ্ঠান, নাম "যাদিদ আল নাকিল রিয়েল এস্টেট"।
সুমাইয়া সুপারমার্কেট" তাঁর বিনিয়োগের তৃতীয় খাত। তার এসব প্রতিষ্ঠানে সবমিলিয়ে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক প্রবাসীর। শুধু ব্যবসায় নয় সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তিনিও সর্বমহলে প্রশংসিত।
দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চিকিৎসা সহায়তা ও সমাজ সেবায় অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। এছাড়াও দায়িত্বপালন করছেন সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সম্মানিত সহসভাপতি ও বৃহত্তর বাগলা প্রবাসী এসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি হিসেবে। সম্প্রতি সিলেটের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন তিনিসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সিলেটবাসীরা যখন ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন খোলামাঠে, খেয়ে না খেয়ে তাদের দিন কাটে, এমন মানবেতর জীবনযাপনের চিত্র দেখে আর বসে থাকতে পারেননি তিনি। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থাসহ নানান ভাবে বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। পৃথক পৃথক ভাবে জকিগঞ্জ এবং দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দোয়ারা বাজার, বড়লেখা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ নারী পুরুষের মধ্যে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
কঠিন সংকটাপন্ন এমন পরিস্থিতিতে এই সহযোগিতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সেখানকার বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, মহামারী করোনা পরিস্থিতিতেও মানুষের পাশে দাড়ান তিনি। নজরুল ইসলামের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম শুধু সিলেট কেন্দ্রীক, তা কিন্তু নয় বাংলাদেশ সহ সংযুক্ত আরব আমিরাত সব জায়গা জুড়ে