বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ হাজার ২১৩ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তার কাছে পাত্তাই পেলেন পেলেন না তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯২০ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ভিপি সফিক উদ্দিন ১৬ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়েছেন।
রাতে ৯টায় বেসরকারি ভাবে এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসাত ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়া।
উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন বুধবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন উপজেলাবাসী।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয় জোরদার করেছিল। নির্বাচনে মোট ১০২টি কেন্দ্রে পুলিশ প্রশাসনের ১০২টি দল দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি দলে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ আনসারের সাথে র্যাব বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও মাঠে সক্রিয় ছিলেন।
এছাড়াও পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া সামলাতে মোট ৮জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেম ৫ জন। আর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ৩ জন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার জন নারী এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৩ জন পুরুষ। তারা মোট ১০২টি কেন্দ্রে ৬২৫টি কক্ষে ভোট দিয়ে নিজেদের কাঙ্খিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। ১০২ টি ভোট কেন্দ্রে মধ্যে ৯৩টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন । তাঁর মৃত্যুতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই শূন্য আসনে তফসিল ঘোষণা করে। ১৫জুন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়।