বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : বয়োবৃদ্ধ রামেশ্বরের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হাদারপার গ্রামে। গত তিন দিন থেকে বাড়িতে পানিবন্দি ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর বাড়িতে টিকে থাকতে পারেননি। পানিতে তলিয়ে গেছে বসতঘর। তাই কোন রকমে বসতঘর ছেড়ে প্রাণে বাঁচার জন্য একটু আশ্রয়ের খুঁজে স্ত্রী ও ২ ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন মেয়ের বাড়ি। মেয়ের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণবাঘা গ্রামে৷ যেখানে আশ্রয়ের জন্য এসেছেন সেখানখানকার হাজারো মানুষ পানিবন্দি।
শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে সুরমা নদী নৌকা যোগে পাড়ি হওয়ার সময় নৌকার মধ্যে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে কাপড়ের ব্যাগকে ছাতা বানিয়ে মাথায় দিয়ে নৌকার মধ্যে বসে আছেন। তার স্ত্রীর মাথায় একই ভাবে আরো একটি কাপড়ের ব্যাগ। পুরো শরীর ভিজে আছে।
কথা হয় বয়োবৃদ্ধ রামেশ্বরের সাথে। তিনি জানান- গত তিনদিন থেকে বাড়িতে পানিবন্দি। আর কোন উপায় না পেয়ে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছি। পানিতে সব তলিয়ে গেছে। ঘরে খাবার নেই। কিছুই রইল না। প্রাণে বাঁচতে, একটু আশ্রয়ের খুঁজে এত দূর থেকে কষ্ট করে মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছি।
আপনি যে এলাকায় এসেছেন সেই এলাকায়ও খুব বেশি পানি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- মেয়ের বাড়ি টিলার উপরে তাই এসেছি।
এদিকে এবারের বন্যা বিগত দিনের সব বন্যাকে অতিক্রম করেছে। সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি। গোলাপগঞ্জ উপজেলারও হাজারো মানুষ পানিবন্দি। দেখা দিয়ে খাদ্য ও নিরাপদ পানির সংকট। সময়ে সময়ে বাড়ছে পানি। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।