বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : বন্যার কারণে সুনামগঞ্জ-সিলেট এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয় ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কিছু কিছু জায়গায় দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালিয়ে ব্যাকআপ দেওয়া হচ্ছিল। কোথাও কোথাও জেনারেটরের তেলও (জ্বালানি) ফুরিয়ে গেছে। ফলে মোবাইল টাওয়ারগুলো ডাউন (বন্ধ) হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় বন্যার্তরা কথা বলতে পারছেন না, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে না। সিলেট ও সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ বলে জানা গেছে।
গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল কিছু কিছু টাওয়ার বন্ধ ছিল, এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
টেলিটকের সিলেট জোনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের ৬০ শতাংশ টাওয়ার ডাউন হয়ে গেছে। হাওর এলাকায় অবস্থা বেশি খারাপ। যেখানে-যেখানে সম্ভব হচ্ছে, কর্মীরা জ্বালানি নিয়ে গিয়ে জেনারেটর চালু রাখার চেষ্টা করছে। সিলেটের হাওর এলাকারও অবস্থা একই। শহরের কিছু এলাকায় নেটওয়ার্ক ঠিক আছে। যেগুলোতে সম্ভব হচ্ছে টাওয়ার চালু করতে জেনারেটর চালানোর জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় জ্বালানি পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় পোর্টেবল জেনারেটর (বহনযোগ্য) পৌঁছে মোবাইল টাওয়ার সচল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জে দ্রুত টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে না পারলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (১৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সুনামগঞ্জে আজ সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে বিটিএসগুলো ‘পাওয়ার ব্যাকআপ’ দিতে পারছে না। এরফলে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত সুনামগঞ্জে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা দিতে না পারলে আটকে পড়া মানুষরা যোগাযোগ করতে পারবে না, এমনকি সেনাবাহিনীর রেসকিউ টিম-কে জানাতে সক্ষম হবে না। ফলে প্রাণহানির আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
যত দ্রুত সম্ভব ভ্রাম্যমাণ জেনারেটরের মাধ্যমে বিটিএসগুলোতে পাওয়ার সাপ্লাই করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।