বিজ্ঞাপন
হারিছ আলী : গোলাপগঞ্জ সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া আবু সুফিয়ান ও তারিফ রহমানের পরিবারে ঈদে খুশির পরিবর্তে বইছে বিষাদের কালোছায়া। ঈদের দিন এ দুই পরিবারে কেটেছে আহাজারি আর আর্তনাদে। সারাদিনই পরিবারের লোকজন কান্নাকাটি করেছেন। ঘরে রান্না করেননি তারা। পরেননি নতুন জামাকাপড়। ছেলে হারানোর শোকে স্তব্ধ এ দুই পরিবারের লোকজন।
জানা যায়, গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার রঙ্গাইবিছরা খেলার মাঠে ছুরিকাঘাতে তারিফ রহমান খুন হন। এ সময় আহত হন আবু সুফিয়ান। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন নিহত তারিফের ভাই। এরপর পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
এদিকে দীর্ঘ ২মাস ১০ দিন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ এপ্রিল মারা যান আবু সুফিয়ান।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে আব্দুল জলিল নাম একজন লিখেছেন, নির্যাতিত দূটি পরিবারের ঈদের আনন্দের পরিবর্তে চোখের জলে বুক ভেসে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় কাটছে এই দিনটি? দূটি পরিবারে নেই কোনো আমেজ নেই কোন ঈদ উৎসব ! হায়েনার দল কেড়ে নিল একে একে তারিফ রহমান এবং আবু সুফিয়ানকে দুটি তাজা প্রাণ।
তারিফ ও আবু সুফিয়ানের পিতা-মাতা তাদের কলিজার টুকরা বুকের মানিকদের হারিয়ে বুক চাপড়িয়ে চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছে, কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখের জল মুছে দৃঢ় মনোবল নিয়ে মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছে যে- কখন যেন শুনতে পাবো আমার কলিজার ধন বুকের মানিকের খুনিরা আইনের হাতে ধরা পড়েছে। তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কতিপয় অভিভাবক ও অসাধু সমাজপতিরা এই খুনিদের রক্ষা করতে; অন্ধকার ও মসৃণ পথে হাঁটতে শুরু করেছে।’