বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : মৌলভীবাজারের ২ কিশোরী বোনকে বেড়াতে নিয়ে টিলার ওপর থেকে একজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া ও অপরজনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২ তরুণের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি গত শনিবারের। এ ঘটনায় মঙ্গলবার জুড়ী থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন কিশোরীদের বাবা।
১২ ও ১৫ বছর বয়সী ২ কিশোরীর বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়। তাদের বাবা দিনমজুরের কাজ করেন।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মুঠোফোনে কিশোরীদের সঙ্গে রাসেল ও জীবন নামের ২ তরুণের পরিচয় হয়। রাসেলের বাড়ি জুড়ী উপজেলার চাটেরা ইউনিয়ন এবং জীবনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নে। অভিযুক্তরা শনিবার ২ বোনকে বেড়ানোর কথা বলে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের নির্জন টিলায় নিয়ে যান। সেখানে রাসেল বড় বোনের শ্লীলতাহানি করতে চাইলে সে তাকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে রাসেল বড় বোনকে ধাক্কা মারেন। এতে সে টিলা থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে যায়। এসময় বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে মৌলভীবাজারের জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর রাসেল ও জীবন কিশোরীর ছোট বোনকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। ওই কিশোরীর নিখোঁজের বিষয়ে প্রথমে গত রোববার জুড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর গতকাল মঙ্গলবার কিশোরীদের বাবা জুড়ী থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, জীবন কিশোরীর ছোট বোনকে সিলেটের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। পরে রোববার রাতে জীবন তাকে জুড়ী উপজেলা সদরের জাঙ্গিরাই চত্বরে একা ফেলে রেখে যান। খবর পেয়ে স্বজনরা কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সূত্র : ডেইলি স্টার