Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ মে, ২০২২
সর্বশেষ সংষ্করণ 2024-05-17T06:45:50Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল কলেজের ক্লাসরুম যেন টিকটকারদের শুটিং স্পট

বিজ্ঞাপন

সামিল হোসেন  : বর্তমানে টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণীরা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও বানাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা। সম্প্রতি গোলাপগঞ্জ উপজেলার নব নির্মিত গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভবন ও ক্লাসরুমে টিকটক ভিডিও বানিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন তরুণ। আর এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোলাপগঞ্জ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে এসব নোংরামি কাজ মেনে নিতে পারছেন না গোলাপগঞ্জের সচেতন মহল।

ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিওতে দেখা যায়, বিনোদনের নামে কলেজটির ক্লাসরুম সহ ভবনের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশ্লিল ভাষা সহ হিন্দি ভাষায় ভিডিও বানাচ্ছেন কয়েকজন লাইকি ও টিকটক আসক্ত তরুণ।

ফখরুল ইসলাম শাকিল নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, টিকটক ও লাইকি আসক্তি আজ তরুণদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ গোলাপগঞ্জবাসীর স্বপ্নের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমের ভিতর এ ধরনের নোংরামি উপজেলাবাসী মেনে নিবেনা। বিষয়টির কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

আমুড়া ইউপি সদস্য, উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেক আহমদ বলেন, বিষয়টি আসলেই লজ্জাজনক। আমাদের জানা ছিলনা আপনাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানের ভিতরের এ ধরনের নোংরামি চলছে। এ বিষয়ে আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করবো। কলেজটিতে প্রহরি নেই এখনো। প্রহরী নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যাক্তিগতভাবে হলেও প্রহরি রাখার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি 

বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের ভিতরে কিভাবে ভিডিও বানাচ্ছে এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বজিৎ দাশ মুঠোফোনে জি ভয়েস টোয়েন্টিফোর এর প্রতিবেদক কে জানান, কলেজটি চালু হলেও এখন পর্যন্ত কলেজের ক্লাসরুম গুলোতে দরজা লাগানো হয়নি। এছাড়াও এখন পর্যন্ত কলেজে কোন গার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঈদের ছুটিতে কলেজ বন্ধ ছিল এ সুযোগে হয়তো তারা বিদ্যালয়ে ঢুকে ভিডিও বানাচ্ছিল। এসব কিভাবে রোধ করা যায় বিষয়টি আমি দেখছি। 

টিকটক ও লাইকির মত এপসকে কেন্দ্র করে অল্প বয়সের সুন্দর চেহারার মেয়েদের বলা হয় তাদের টিকটক ‘স্টার’ বানিয়ে দেওয়া হবে, ফলোয়ার বাড়বে, টাকা আয় করা যাবে। পরে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে নেওয়া, পাচার করে দেওয়া, ধর্ষণ, আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা, এমনকি হত্যা সহ ভিডিও বানাতে গিয়ে নিহতের মতো ঘটনাও প্রতিনিয়ত দেশে ঘটছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য আহবান জানান উপেজলার সচেতন মহল।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ