বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর পূর্বপাড়া ভাদেশ্বর গ্রামের যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত( ৮ মে) রোববার রাত ১২টার দিকে।
এ ব্যাপার নির্যাতিতা শফিক উদ্দিনের মেয়ে ফাহমিদা আক্তার তান্নি বেগম বাদী হয়ে ফতেহপুর পূর্বপাড়া, ভাদেশ্বর গ্রামের মৃত তছির আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ (৩৭) ও আব্দুল মুকিত (৩৯) কে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে বাদীনি ফাহমিদা আক্তার তান্নি বেগমের সাথে বিবাদী আব্দুল আহাদের বিয়ে হয়। বর্তমানের তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। ফাহমিদার স্বামী আব্দুল আহাদ অবৈধ ভাবে প্রবাসে থাকায় অবস্থায় ধরা পড়ে গত ২ মাস পূর্বে দেশে ফিরে এসে বেকার জীবন যাপন করছেন। ২নং বিবাদী আব্দুল মুকিত এর পরামর্শে আব্দুল আহাদ পুনরায় বিদেশ যাওয়ার জন্য তান্নিকে তার পিতার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এরপর আব্দুল আহাদ তান্নিকে পিতার কাছ থেকে টাকা আনতে বললে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এরজন্য আব্দুল আহাদ তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং তালাক দেয়ার হুমকী দিতে থাকে। নির্যাতনের বিষয়ে কয়েকবার পারিবারিক বিচার বৈঠক হলেও এর কোন সমাধান হয়নি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮মে রাত আনুমানিক সোয়া ১২টার সময় আব্দুল আহাদ ফাহমিদা আক্তার তান্নি বেগমকে তার পিতার নিকট থেকে ৩ লক্ষ টাকা আনার কথা বললে সে অপারগতা প্রকাশ করলে আব্দুল আহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে তান্নির মাথার চুলের মুটি ধরে টানা হেচড়া করে এবং এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং কোমরের বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করেন। তান্নি চিৎকার করলে বিাবদী তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। এই অবস্থায় বাদিনী তান্নি বেগম স্বামীর বড়ভাই বিবাদী আব্দুর মুকিতের নিকট বিচার প্রার্থী হলে আব্দুল আহাদ ও আব্দুল মুকিত মিলে তান্নিকে চড় থাপ্পড় মেরে জোরপূর্বক ঘরে বন্দী করে রাখেন।
এসময় তান্নির পিতা ও আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবগত করেন। পরে ভোর রাতে পেট্রোল ডিউটিরত পুলিশের সহযোগিতায় তান্নিকে গুরুতর জখমী অবস্থা উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা খারাপ দেখে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের কথামত ফাহমিদা আক্তার তান্নি বেগমকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগের মাধ্যমে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
গোলাপগঞ্জ থানার এ.এস.আই তন্নয় জানান, ভিকটিম ফাহমিদা আক্তার তান্নিকে আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।