বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ভারে মুখর সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সিলেটের অধর্শত পর্যটন কেন্দ্রে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হলেও ভুলে যাচ্ছেন প্রকৃতির কোলে গিয়ে।
মঙ্গলবার ঈদের দিন সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিলো। বিকেলের দিকে বৃষ্টি থামতেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন পর্যটকরা।
মহামারি করোনার জন্য গত দুই বছরে চারটি ঈদে ছিলো সরকারি নিষেধাজ্ঞা। ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই বেড়াতে বের হননি। তবে দু’বছর পর কোনো ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ম-নীতি না থাকায় এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকাল থেকে সিলেটের লাক্কাতুড়া ও মালনীছড়াসহ শহরতলির সবকটি চা বাগানে ঢল নামে পর্যটকদের।
ঈদের ছুটিতে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিপুল সংখ্যক ভ্রমণপিপাসু যান প্রকৃতিকন্যা জাফলং, বিছনাকান্দি, স্বচ্ছ নীল জলের লালাখাল, পাংতুমাই ঝর্ণা ও মিঠাপানির সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল, মিনি কক্সবাজার খ্যাত হাকালুকি হাওর, মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড ও হামহাম জলপ্রপাত, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান দেখতে। নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছাড়াও সবক’টি চা বাগানে ছিল সব বয়সী মানুষের ভিড়। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে নেচে গেয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন পর্যটকরা।
এ ছাড়া হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার ঘিরেও বেড়েছে ভক্তের আনাগোনা।
উঁচু পাহাড়, স্বচ্ছ জল, রকমারী নুড়িপাথরের সমন্বয়ে গড়া আসাম সীমান্তবর্তী এলাকা জাফলং। ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে ভিড় করেন পর্যটক। সীমান্তের ওপারে থাকা ভারতীয় পাহাড় ডাউকি থেকে অবিরাম ধারায় বহমান মায়াবী ঝর্ণা, ঝুলন্ত ডাউকি সেতু, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জল, উঁচু পাহাড়ের গহীন অরণ্যের সুনসান নীরবতায় মুগ্ধ পর্যটকরা। তবে পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান বৈরী আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি এখনও।