বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে উপজেলায় উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পুরো দমে নিবাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে । এরই মধ্যে প্রার্থীতার জানান দিতে উপজেলার তৃণমূলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ করছেন আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার রায়গড় (ঘোগা) গ্রামের সন্তান লুৎফুর রহমান দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল দীর্ঘ ১৫ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এর আগে ১৯৯৯ সালে গঠিত সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন লুৎফুর রহমান। বর্তমানে তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
লুৎফুর রহমানের মানুষের প্রতি অকৃৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা রয়েছে জানিয়ে তৃণমূলের নেতাকমীরা মত প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে আন্তরিক কাজ করে যাচ্ছেন । তিনি রাজনীতি করেন মানুষের কল্যানে। তার শক্তিই হচ্ছে মানুষের ভালবাসা, সততা ও নিষ্ঠা । তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী।
এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, নিভৃতচারী এই সমাজসেবক কোন ধরণের প্রচারণা ছাড়া এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণসহ মসজিদ-মন্দিরে অনুদান, অসহায় গরিব-দুঃখীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ ও নগদ অর্থ প্রদান, উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। নানামুখী মানবিক সেবা নিয়ে প্রতিনিয়তই জনগনের সুখে দুঃখে কাছে যাচ্ছেন। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহযোগিতার হাত। সামাজিক নানা উন্নয়নমূলক কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছেন লুৎফুর রহমান।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন সিলেটভিউকে বলেন, ‘আমি গোলাপগঞ্জবাসীর সেবক। আমার এলাকায় আমি এবং আমার পরিবার দীর্ঘকাল ধরে জনসেবায় নিয়োজিত। এই জনপদে আমৃত্যু সেবা করে যেতে চাই। যেকোন সময় ভালো কাজে আমাকে তারা কাছে পাবেন। আমি অঙ্গীকার করেছি, সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতির একমাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আমি একজন কর্মী। এই দলের অভিভাবক হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি । বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটি শিরোধার্য। প্রত্যেক এলাকায় জনগণ যাকে চায়, জনগণ যাকে ভালোবাসে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এক্ষেত্রে গোলাপগঞ্জের দলীয় নেতাকর্মী ও জনগনের অকুণ্ঠ সমর্থন ও দোয়া আমার রাজনীতির একমাত্র শক্তি।’
মুজিব আদর্শের একজন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমান। একজন সৎ ও অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি দেশব্যাপী সুপরিচিত। এছাড়াও এলাকার শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়ন ও প্রসারে তিনি অত্যন্ত আন্তরিক। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম একজন ট্রাস্টি। তিনি তাঁর পৈত্রিক ভূমিতে শাহ মঞ্জুর (র.) হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ঐতিহ্যবাহী রানাপিং আরবিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসার মজলিশে সুরার অন্যতম সদস্য। এছাড়াও তিনি কয়েকটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত।
মুজিব আদর্শের সৈনিক ও নিবেদিত সমাজসেবক লুৎফুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে গোলাপগঞ্জের উন্নয়ন আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলীয় নেতাকর্মী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন।