বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা কালীন সময়ে অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেলেও বাংলাদেশ অনেক ভালো ছিল। তখন দেশের কাউকে না খেয়ে মরতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এখনও এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই। এজন্য বর্তমান সরকার কৃষি খ্যাতকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আরও গতিশীল হয়েছে। ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে কমমূল্যে সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে।
তিনি সোমবার সকাল ১১টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে ২০২১-২২ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে আউশ প্রণোদনার আওতায় রাসায়নিক সার ব্রীজ ও ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম কবির।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মনসুর আহমদ ও মসরুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার আনিছুজ্জামান, বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার গৌতম পাল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, লক্ষিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন জেবুল, আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু। অনুষ্ঠানে কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ নজরুল ইসলাম, চেরাগ আলী।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নাজিমুল হক লস্কর, সদস্য কামাল মিয়া, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল আলী, ইউপি সদস্য মাওলানা মাহফুজুর রহমান কাশেমী, আজমল হোসেন, যুবলীগ নেতা তোরন তালুকদার, ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১৩৯০ কৃষকের মধ্যে ৩০ কেজি স্যার ও ৫ কেজি বীজ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে মোট ১কোটি ২০লক্ষ টাকা ভর্তুকীতে ৬টি কম্পাইন হার ভেস্টার মেশিন সরবরাহ করা হয়।