বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইদুর রহমানের হামলায় চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ইছাকলস ইউনিয়নের বাগজুর চিলাডহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সালিশ বিচারের সময় এঘটনা ঘটেছে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, বাগজুর গ্রামে একটি সালিশ বিচারের জন্য গিয়েছিলাম এমন সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার ভাই মুহিবুর (২৬) ও খলিল (৪০) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন অতর্কিত ভাবে আমার উপর হামলা করে। এসময় আমার কাছে থাকা ঐসালিশের আনামতের এক লাখ টাকা ও ব্যক্তিগত পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
তিনি জানান এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তেলিখাল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব আলী কালা মিয়া, উপজেলদ ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন সহ এলাকার অসংখ্য মুরব্বিরা ছিলেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত সিরাজ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজুর উপর সাইদুর রহমান মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। উপস্থিত শত মানুষের সামনে একজন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন তিনি।
সদর উপজেলার হাটখোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন বলেন, কোম্পানীগঞ্জের ইছাকলস ইউনিয়নে সালিশ বিচারের স্থানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু উপর হামলার ঘটনা অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। একজন জনপ্রতিনিধির উপর প্রকাশ্য দিবালোকে হামলার ঘটনায় আমি হতবাক।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া বলেন, বাগজুর গ্রামে একটি চুরির বিচার ছিল ঐখানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজুর উপর সাইদুর রহমান ও তার ভাইয়েরা হামলা করেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া জানান ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজুর উপর হামলার ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। একটি সালিশ বিচারের মাঝে শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় আমাকে আতঙ্কিত হয়েছি। এই ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা না হলে আগামীতেও এই ধরনের ঘটনা হতে পারে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কেএম নজরুল জানান, চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনারস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে হামলার ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত সকল অপরাধদের আইনের আওতায় আনা হবে।