বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে দুবাই ও আবুধাবি রুটে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সগুলোর বাড়তি ভাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ওইসব রোডে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা। বারবার যাত্রীদের পক্ষ থেকে টিকেটের দাম কমানোর আহ্বান জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে দুই-তিনগুণ দাম দিয়ে টিকেট কিনতে হচ্ছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।
জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট-হিথ্রো ও ঢাকা-সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে সরাসরি চলাচল করে। হিথ্রো ও ম্যানচেস্টার রোডে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান। ফ্লাইটগুলো ফেরার সময় যুক্তরাজ্য থেকে দেশে যাত্রী নিয়ে যায়। বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও কাতার, তুর্কি, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স টানজিট দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসীদের অধিকাংশ মানুষ সিলেট বিভাগের হওয়ায় তারা বিমানের সরাসরি ফ্লাইটে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। তবে, প্রবাসীদের কাছে বিমান ভাড়া এখন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর বাড়তি বিমান ভাড়ার কারণে পরিবার নিয়ে দেশে যাওয়ার কমে গেছে প্রবাসীদের।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হিমশিম খাচ্ছেন টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে।
একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের যাত্রীদেরও, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কিছুদিন আগেও বিমানের টিকিটের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এখন তা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। আবার বেশি দাম দিয়েও বিমানের টিকিট মিলছে না। অস্বাভাবিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরাও। এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
ষ্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়া তানভীর আলম বলেন, ‘সব এয়ারলাইন্সের ভাড়া লাগাম ছাড়া, যে যেমন পারছে টিকেটের দাম নিচ্ছে। আমি এক টিকেট নিয়েছি ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়। এই টাকা আমার সেমিস্টার ফি'র অর্ধেক।’
যুক্তরাজ্যের পোস্টমাউথ ভার্সিটির ছাত্রী তানজিনা জাহান নিশাত বলেন, হয়রানির আরেক বিমানের টিকেট সংগ্রহ করা। দাম করে এখন বিমানের টিকেটও কিনতে হয়। মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসে টানজিট দিয়েও টিকেটের দাম পড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আবার অনেক সময় একই টাকায় সিলেট থেকে সরাসরি হিথ্রো আসা যায়। টিকেটের এমন বিশৃঙ্খলায় কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।
মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী জাফর আহমদ জানান, আগে যেখানে ভাড়া ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ছিল, এখন প্রায় ৮০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে বাড়তি মূল্যে টিকিট কিনতে হচ্ছে। তিনি অনেক কষ্ট করে একটি টিকিট ম্যানেজ করেছেন।
এসব বিষয় নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিস্তারিত বিষয় লিখিত আকারে তাকে জানানোর পরামর্শ দেন।
সূত্র : সিলেট প্রতিদিন