বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের হাট শ্রীকোল গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী রাজিয়া খাতুনকে (১২) ধর্ষণের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে স্বীকার করেছে হত্যাকারী।
এ ঘটনার তিনদিন পর রোববার (২০ মার্চ) সকাল ১১টায় খুনি হাসান শেখকে (২৩) সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার এম নাজিউর রহমান এসব তথ্য দেন।
ধর্ষক ও হত্যাকারী হাসান শেখ (২৩) শ্রীকোল গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে। সে পেশায় একজন নছিমন চালক।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ঘটনার দিন রাজিয়াকে একা পেয়ে হাসান কৌশলে রসুনক্ষেত থেকে তার মুখ চেপে ধরে পাশের বাঁশ বাগানের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে তাকে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে হাসান একাই জড়িত বলে র্যাব কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পর থেকেই পুলিশ, সিআইডি ও র্যাব হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে মাঠে নামে। অবশেষে ১৯ মার্চ র্যাব-৬ এর সদস্যরা জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের হাসান শেখকে আটক করে।
আরও পড়ুন: এক দোকানেই মজুদ ২০ হাজার লিটার তেল
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। স্বীকারোক্তিতে সে জানায়, মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের দিনে বাড়ির পাশে নদীর চরে নিজেদের একটি রসুনের ক্ষেত দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রাজিয়া খাতুন। পরদিন দুপুরে বাড়ি থেকে মাত্র তিনশ' গজ দূরে নদীর পাশে একটি বাঁশ বাগানের নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।