বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক : বিশ্বে এ মুহুর্তে যে কয়েকটি ফ্লাইং মেশিন নিয়ে কাজ চলছে তার মধ্যে স্পিডার একটি। প্রযুক্তির দিক থেকে দেখলে একে কিছুটা সেকেলে মনে হতে পারে। কিন্তু গ্রাহকদের কথা ভাবলে এটি শুধুমাত্র তরল জ্বালানিতেই সম্ভব।
১২ বছর বয়সেই ডেভিড মায়মান হেলিকপ্টার তৈরির চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সফল হননি তিনি। পরবর্তীতে বড় হয়ে মায়মান এমন একটি মেশিন তৈরি করেছেন যা সত্যিকারভাবেই উড়তে পারে। অনলাইন লিস্টিং ব্যবসা বিক্রি করে মায়মান একটি জেটপ্যাক তৈরি করেন। ২০১৫ সালে এই জেটপ্যাকের সহায়তায় তিনি স্ট্যাচু অব লিবার্টির চারপাশে চক্কর দেন।
স্পিডার নামে তার নতুন এ মেশিনটি অনেকটা উড়ন্ত মোটরসাইকেলের মতো হবে। এটি উল্লম্বভাবে উড্ডয়ন করবে, উচ্চগতিতে উড়বে। প্রকৌশলীরা আশা করছেন, এর সুবাদে সাশ্রয়ী ও ঝামেলাবিহীন বিমান চলাচলের নতুন যুগের সৃষ্টি হবে।
ব্যাটারি এবং ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনের পরিবর্তে এই স্পিডারে চারটি ছোট আকারের জেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনগুলো এভিয়েশন ফুয়েলে চলবে।
ইউএস নেভিতে কাজ করার সময় মায়মানের মাথায় স্পিডারের আইডিয়াটি আসে। মায়মান বলেছেন, এয়ারক্রাফটটিকে স্থিতিশীল রাখার জন্য স্পিডারের ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম অনেকটাই কাজ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এর সক্রিয় এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) যা করতে বলা হবে তা পারবে। প্রয়োজনে এটি ইঞ্জিনগুলোকে উঠা-নামা করার নির্দেশ দিতে পারে।
স্পিডারে চারটি জেট টার্বাইন ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই সিস্টেমের মূল অংশ হলো বেসপোক সফটওয়্যার, যা চারটি শক্তিশালী জেটের প্রতিটিরই অবস্থা বোঝে। এর ফলে যখন পাইলট স্পিডারটি উঠা-নামা করবে অথবা অন্যকোন দিকে মোড় ঘোরাবে তখন জেটটি অ্যাঙ্গেল করানো যাবে।
ক্রানফিল্ড ইউনিভার্সিটির অ্যারোস্পেস স্টেন্টারের গ্যাস টার্বাইন প্রযুক্তি বিভাগের গবেষণা সহযোগী সজল কিশোন বলেন, নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার জন্য এআই ব্যবহার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: বিবিসি