বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে সয়াবিন তেলের তেলেসমাতি। এরই মাঝে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে সিলেটে পেঁয়াজের কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। অবস্থা লাগামহীন হওয়ার আগেই প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও মনিটরিং বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জোর দাবি জনসাধারণের।
পেঁয়াজ ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়, তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কোনো ধরনের প্রভাব নেই বলেও জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন- সব পেঁয়াজেই ৪-৫ টাকা করে দাম বেড়েছে। এখনো দেশের অন্যান্য জেলার পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে আসেনি। যার কারণে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
এদিকে, পাইকারি বাজারে দাম সামান্য বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছেন কালোবাজারিরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন- রমজান সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। অস্থির হয়ে ওঠছে নিত্যপণ্যের বাজারদর। ব্যবসায়ীদের একটি চক্র এই বাজার অস্থিরের চেষ্টা করেন। প্রশাসন আন্তরিক এবং কঠোরভাবে মনিটরিং করলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
জানা গেছে, রমজান সামনে রেখে একশ্রেণির ব্যবসায়ী পণ্যগুলোর দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত কারণে গুজব রটিয়ে অনেকে পেঁয়াজসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়াতে তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি বাড়লে পেঁয়াজের বাজার দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে মনে করছেন জনসাধারণ।
সংবাদ সূত্রে : সিলেট ভিউ