বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন: সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবী, দানশীল ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন (লেচু মিয়া) আর নেই।(ইন্নালিল্লাহি ....রাজিউন)। তিনি বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের সময় রাজধানী ঢাকার ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বেশ কিছুদিন থেকে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর তিনি স্ত্রী,এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ঢাকার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে নিশ্চিত করেছেন তাঁর একমাত্র পুত্র সৈয়দ তানভীর হোসেন। মরহুমের মৃত্যুর সংবাদে গোলাপগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৪৬ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
মকবুল হোসেন সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি উপসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করে ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি তাঁর জন্মস্থান সুন্দিসাইল গ্রামে প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজ। এছাড়া বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত থাকলেও ১৯৯১ সালের পর যোগ দেন বিএনপিতে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি থেকে তিনি অবসরে ছিলেন।