বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটের জৈন্তাপুরে দাফন হওয়া শম্ভু দেবনাথের মরদেহ কবর থেকে উত্তল করা হয়েছে।
১১ মার্চ শুক্রবার বেলা ১২ টায় উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তলন করা হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল বশিরুল ইসলাম, মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ, এসআই কাজী শাহেদ, ইউপি সদস্য অহিদুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, কবর স্থান উন্নয়ন কমিটি সভাপতি হাফেজ আব্দুল মুছাব্বির ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন চৌধুরীর সহ সম্ভু দেবনাথের পরিবারের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন মরদেহ ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ডিএনএ স্যাম্পুল সংগ্রহ শেষে সম্ভুর পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে৷
উল্লেখ্য : পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, ৫ মার্চ শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলার ঘাটেরচটি এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে ডালিম আহমদ (২২) কাজে গিয়ে নিখোঁজ হন। ৭ মার্চ সোমবার উপজেলার ঘাটেরচটি এলাকায় তারেক মিয়ার পুকুর ভাসমান অবস্থায় পরিচয়হীন মরদেহ উদ্ধার কালে নিখোঁজ ডালিমের মরদেহ বলে দাবি করেন স্বজনরা। পুলিশও নিখোঁজের পরিবারের কথায় বিশ্বাস করে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করে। ইসলামীক রীতি অনুসারে তার জানাজার নামাজ এবং দাফনও করা হয়।
দাফনের পর জানা গেলো খুন হওয়া যুবকটি ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী। তার নাম শম্ভু দেবনাথ (২৪)। তিনি কানাইঘাট উপজেলার লামা ঝিঙ্গাবাড়ির শৈলেস চন্দ্র নাথের ছেলে। ৪ মার্চ শুক্রবার গরু চরাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। এ ঘটনায় পরদিন ৫ মার্চ শনিবার তার মামা সেনানীবাস সংলগ্ন চোয়াবহর গ্রামের বাসিন্দা পরিমল দেবনাথ সিলেট নগরীর শাহপরাণ (র.) থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
অপরদিবে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ ডালিম হত্যার রহস্য খোঁজতে গিয়ে ঘাঠেরচটি নায়াটিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন কৃষি জমিতে মাটি চাপা অবস্থা গলাকাটা ডালিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে ডালিমের ফিঙ্গার ম্যাচ করে সনাক্ত করা হয় এটাই ডালিমের মরদেহ।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান গণমাধ্যমেকে বলেন, হাওরের পুকুর হতে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ছিল শম্ভু দেবনাথের যাহা পরবর্তীতে ডালিমের লাশ উদ্ধারের পর নিশ্চিত হয় পুলিশ ৷ কিন্তু ডালিমের স্বজনরা মরদেহটি ডালিমের দাবি করে ময়না তদন্তের পর দাফন করে। মরদেহ উদ্ধারের সময় পচে গলে যাওয়ায় সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। কেবল ধারণা হতে ডালিমের মরদেহ বলে দাবি করেছিলেন স্বজনরা।