বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন: প্রায় আড়াই কিলোমিটার আয়তনের সিলেটের গোলাপগঞ্জ বাজার। চারিদিকে নির্বাচনী আমেজ আর বাজার জুড়ে নির্বাচনী ব্যানার, ফেষ্টুন, শতশত পোষ্টারে সয়লাব । গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) ছিলো গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির ত্রী-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৩৫ জন প্রার্থী ছিলেন।
বাজার ঘুরে ৩৫জন প্রার্থীদের মধ্যে ৩৪জনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার চোখে পড়লেও একজন প্রার্থীর কোন ফেস্টুন, ব্যানার, পোষ্টার কোথাও চোখে পড়েনি। নির্বাচনে কোন প্রকার ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন ছাড়াই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে চমক দেখিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
মাহবুব চৌধুরী ২০১৮ সালের নির্বাচনেও কোন প্রকার পোষ্টার, ফেষ্টুন ব্যবহার ছাড়াই প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ ৪১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৎকালীন নির্বাচনে সকল পদের প্রার্থীদের চেয়ে সর্বোচ্চ ভোট পান তিনি।
দ্বিতীয়বারের মতো ১৪ মার্চের নির্বাচনে কাস্টিং ১২৯৪ ভোটের মধ্যে তিনি চাকা মার্কায় সর্বোচ্চ ৯২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এবারেও তিনি সকল প্রার্থীদের চেয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন।
ব্যানার পোষ্টার ছাড়াই কিভাবে জয় পেলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে পরপর দুবার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ী তথা ভোটারদের আন্তরিকতা ও ভালবাসা থাকলে ব্যানার পোষ্টার কোন ফ্যাক্টর নয়। ব্যাতিক্রমী ও কৌশলী প্রচারনা করেও ভোটারদের মন জয় করা সম্ভব।"
তিনি আরো বলেন, বাজারের সৌন্দর্য রক্ষা ও নির্বাচনী ব্যায় কমাতে কোন ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন ব্যবহার করেননি। প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করায় এবারের ফলাফল প্রথমবারের চেয়ে প্রায় আড়াইগুন বেশী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। সকল প্রার্থীদের চেয়ে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় গোলাপগঞ্জ বাজারের সকল ব্যবসায়ী শুভাকাঙ্খীদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
উল্লেখ, ১৪ মার্চ সোমবার সকাল ৯টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে ৪ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৭৯ জন। এরমধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১২৯৪ জন।