বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: দুর্ধর্ষ এক নাম শামিম আহমদ। সে সিলেট নগরীর জালালাবাদ থানার মইয়ারচর এলাকার তজম্মুল আলীর পুত্র। নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন এবং চুরিসহ একাধিক মামলার আসামি সে। বাদ যায় না নারীদের শ্লীলতাহানিও। মামলা হয়, অদৃশ্য ক্ষমতাবলে জামিনে বের হয়ে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে সে। চুরি, ছিনতাই যেন নিত্য নৈমিত্তিক কাজ তার।
এবার ইলেকট্রনিকস মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভি সিলেট অফিসের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মারুফ আহমদের ৯৭ হাজার টাকা ছিনতাই, হামলা ও অপহরণ চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে শামিম।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বিকালে যখন দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয় তখনকার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় শামিম অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালাগাল করছেন। এমনকি সাংবাদিক মারুফকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
এর আগে সোমবার (২১ মার্চ) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার ব্ল-ওয়ার্টারের আন্ডারগ্রান্ড থেকে শামিম আহমদ, মইয়ারচর গ্রামের মুক্তার আলীর পুত্র সুহেল রানা ও অজ্ঞাত আরও এক যুবক মিলে সাংবাদিক মারুফ আহমদকে অপহরণ চেষ্টা চালালে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় ওই তিন যুবক সাংবাদিক মারুফকে মারধর করে নগদ ৯৭ হাজার টাকা ও জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর পুরো ঘটনা ধরা পড়ে ব্লু-ওয়ার্টারের সিসিটিভির ক্যামেরায়।
পরে রাতে সাংবাদিক মারুফ আহমদ বাদী হয়ে শামিম আহমদের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত দুইজনের নামে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে শামিম আহমদ ও সুহেল রানাকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার বিকালে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ।
তবে শামিম আহমদের গ্রেপ্তারের খবরে তার এলাকার মানুষের মাঝে শান্তি বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মইয়ারচর এলাকার একাধিক ব্যক্তি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্তব্য করছেন।
এদিকে শামিম আহমদ একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র। এমনকি তার বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় একটি ও চুরিসহ আরও কয়েকটি অপরাধে পূর্বের দুটি মামলা রয়েছে। উভয় মামলায় জামিনে থেকে ফের বেপরোয়া ভাবে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অপরদিকে সাংবাদিক মারুফ আহমদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার শামিম ও সুহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা। বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।
নিউজ: সিলেট ভয়েস