বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: গোলাপগঞ্জে তারিফ রহমান (২৫) হত্যার মামলায় মূল আসামীরা এখনো রয়েছে অধরা। পুলিশ ৪জন আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্রডের রনকেলী নুরুপাড়া রঙ্গাই বিছরায় একটি ফুটবল খেলায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পৌর এলাকার নয়াগ্রামের তখলিছ আলীর ছেলে তারিফ রহমান প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত তারিফ রহমানের বড় ভাই তাহমিদুর বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ৪জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে। ঘটনার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
যে চার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলো, রণকেলী পূর্ব দিঘীরপাড় নুরুপাড়া এলাকার মুক্তা মুয়ার ছেলে আবিদুর রহমান (১৯), কবির হোসেন এমরানের ছেলে আতিকুল ইসলাম নিপু (১৯), মৃত পছন আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫৪), মৃত আবদুস ছত্তারের ছেলে কবির হোসেন এমরান (৫০)।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন একই গ্রামের তছন আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান (২৬) ও পারভেজ আহমদ (২০)। এরমধ্যে পারভেজ আহমদ কিছুটা সুস্থ হলেও আবু সুফিয়ানের শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে আবু সুফিয়ানের বড় একটি অপারেশন করা হয়। এরপরও তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হলে তাকে সিলেট নূরজাহান ক্লিনিকের আইসিইউতে ৩ দিন রেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়। (রোববার) দিনের বেলা তার অবস্থা আরো খারাপ হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আহত সুফিয়ান এর ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে।
ছুরিকাঘাতে আবু সুফিয়ানের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্বাস প্রশ্বাস ও ব্লাডপ্রেশার অস্বাভাবিক হওয়ায় সে চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে ডাক্তার জনিয়েছেন।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক ৪জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: শুভ প্রতিদিন