বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি : নানা নাটকিয়তায় বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কাউন্সিল পন্ড হয়ে গেছে। মাত্র কয়েকঘন্টা আগে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা, স্থান পরিবর্তন, পুলিশী বাঁধা, প্রার্থী-কাউন্সিলার তালিকা নিয়ে গোপনীয়তা আর কোন্দলে আটকে পড়েছে বিয়ানীবাজার বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের ভবিষ্যত।
এমন প্রেক্ষাপটে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল বিয়ানীবাজারে করার ‘পরিবেশ’ নেই এমন অজুহাতে সিলেট জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বেশীরভাগ কাউন্সিলার অনুপস্থিত ছিলেন বলে সূত্র জানায়। নেতাকর্মীদের শঙ্কা, সিলেটে কাউন্সিল না করে পকেট কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির দায়িত্বশীলরা।
বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল বলেন, বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। মাত্র কয়েকঘন্টার নোটিশে নামমাত্র কাউন্সিল করার বিষয়টি সকল কাউন্সিলারদের জানানো হয়নি। এমনকি প্রার্থী কারা তাও জানা যায়নি। এরপরও কাউন্সিলারদের একত্রে জড়ো করে প্রস্তুতি নিতে থাকি। তার অভিযোগ, একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করার পরও প্রশাসন বাঁধা দিচ্ছে এমন অজুহাতে কাউন্সিল জেলায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কাউন্সিলাররা ভালোভাবে নেননি। বেশীরভাগ কাউন্সিলারও সেখানে অনপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা বিএনপি নেতা সরওয়ার হোসেন জানান, প্রশাসনের বাঁধার কারণে বিয়ানীবাজারে কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি। বিধায় কাউন্সিলার-প্রার্থীদের জেলায় ডেকে নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, উপজেলায় সভাপতি পদে নজমুল হোসেন পুতুল, আব্দুস সবুর, আখতার হোসেন খান জাহেদ ও এডভোকেট আহমদ রেজা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে সরওয়ার হোসেন ও সিদ্দিক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও আতাউর রহমান প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু বিয়ানীবাজারে কাউন্সিল না করে বিভিন্ন অজুহাতে জেলায় নিয়ে যাওয়ার তৎপরতায় অনেকে প্রার্থীতা থেকে ছিটকে পড়েছেন।
এখানকার ইউনিয়নগুলোতেও বিএনপির কমিটি নিয়ে কোন্দল আছে। প্রায় সবক’টি ইউনিয়নেই আছে পাল্টাপাল্টি কমিটি। বিগত সময়ে এসব কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হলেও তেমন প্রক্রিয়া করা হয়নি বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ। ফলে কাউন্সিলার তালিকা নিয়েও জঠিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম এবং গত জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরীর মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়েছে। এমন সমঝোতার ভিত্তিতে দু’পক্ষের পছন্দের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রায় চূড়ান্ত। গোপনে চূড়ান্ত হওয়া এমন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে জেলা বিএনপি। এই সূত্রের দাবী, বিয়ানীবাজার উপজেলায় সভাপতি পদে আখতার হোসেন খান জাহেদ, সাধারণ সম্পাদক পদে সরওয়ার হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমানকে গোপন সমঝোতায় মনোনীত করা হয়েছে। এমন হলে অপরপক্ষ নজমুল হোসেন পুতুলকে সভাপতি, সিদ্দ্কি আহমদকে সাধারণ সম্পাদক এবং কামাল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করে পাল্টা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে রেখেছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, নিজেদের কোন্দলের কারণে বিএনপি বিয়ানীবাজারে কাউন্সিল করতে পারেনি।