বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের কানাইঘাটে যৌতুকের জন্য ৩ সন্তানের জননীকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত জুলফা বেগম চৌধুরীর (২৯) ভাই আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে তার বোন জামাই ফতেহপুর গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে আবুল হাসান ফাহিম (৩৫) ও তার মা রাশিদা বেগম (৫৫) কে আসামী করে থানায় গত বৃহস্পতিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ধারায় অভিযোগটি গ্রহণ করে। থানার মামলা নং-১৯, তাং-২৪/২/২২ইং।
মামলার সূত্রে জানা যায়, যৌতুকের জন্য তিন সন্তানের জননী জুলফা বেগমকে চৌধুরীকে প্রায়ই তার স্বামী আবুল হাসান ফাহিম তার মায়ের প্ররোচনায় অমানবিক নির্যাতন করতো। স্বামীর নির্যাতনে শিকার হয়ে পিত্রালয় থেকে অনেক টাকা স্বামীকে এনে দেন জুলফা বেগম।
গেল ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটার দিকে পুনরায় মোটা অংকের যৌতুকের জন্য আবুল হাসান ফাহিম তার মা রাশিদা বেগমের প্ররোচনায় শারীরিকভাবে অমানবিক নির্যাতন শুরু করলে জুলফা তার মাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। সকাল দশটার দিকে জুলফা বেগমের পরিবারের কয়েকজন সদস্য স্বামীর বাড়ীতে গিয়ে জুলফাকে চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পান। সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকগন জুলফাকে মৃত ঘোষনা করেন। জুলফা বেগমের লাশের ময়নাতদন্তের পর দাফন করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর পরই আবুল হাসান ফাহিম ঘা ঢাকা দিয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রথমে কানাইঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করার পর বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থানায় অভিযোগ দাখিলের পর মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ। জুলফা বেগম চৌধুরীর হত্যা মামলার পলাতক আসামী তার স্বামী আবুল হাসান ফাহিম ও তার মা রাশিদা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।