বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে দলীয় গ্রুপিং, চাঁদাবাজির টাকা ও মাদক দ্রব্য বিক্রি নিয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাতে তুহিন আহমদ নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীর খুন হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সরকারি এমসি একাডেমির পাশ্ববর্তী একটি স্থানে একজন যুবকের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত তুহিন আহমদ উপজেলার চৌঘরী গ্রামের সাদ্দাম আহমদের পুত্র।
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে গ্রুপিং সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় নিহত তুহিনের বাবা সাদ্দাম আহমদ বাদী হয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
মামালার আসামীরা হলেন ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের ওয়াদুদ মিয়ার পুত্র জুয়েল আহমদ (২৪) বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা গ্রামের সামছুল হকের পুত্র অলিউর রহমান (২৬), একই ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের আসিদ আলীর পুত্র শফি আহমদ (২৮), কেওয়া গ্রামের জয়নাল উদ্দিনের পুত্র ফরিদ আহমদ (২৭), বাঘা ইউনিয়নের গন্ডামারা গ্রামের কবির আহমদের পুত্র পাবেল আহমদ (২৪), একই ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের রফিক মিয়ার পুত্র ছালা উদ্দিন (৩১), খান্দিগ্রাম এর ফজলু মিয়ার পুত্র ইমন আহমদ (২৭)।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুনুর রশীদ চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।