বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন : চোখজুড়ানো, নয়নাভিরাম এক স্টেডিয়াম সিলেটের আউটার বা গ্রাউন্ডস-টু মাঠ। তিন দিকে টিলা বেষ্টিত দেশের সর্ব বৃহৎ সবুজ মাঠের স্বীকৃতি জুটেছে এই স্টেডিয়ামের। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো চলতি বিসিএল টুর্নামেন্ট দিয়ে। উইকেট নিয়ে হতাশা থাকলেও পূর্ণাঙ্গ রুপ দেয়ার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের। এছাড়াও এই স্টেডিয়ামেই স্থাপন করা হবে দেশের প্রথম ক্রিকেট জাদুঘর।
জানা যায়, লাক্কাতুরায় অবস্থিত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই এ গ্রাউন্ডটি তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৭৩ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-টু’। যার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
সিলেট আউটার স্টেডিয়াম নাম নিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে নাম পাল্টে রাখা হয় সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-২ নামে।
সবুজ, শ্যামল, নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় বিসিএলের এবারের আসর দিয়ে। দেশের দ্বিতীয় ও বৃহৎ সবুজ গ্যালারী সম্পন্ন এই মাঠে রয়েছে ৯টি উন্নত মানের স্পোর্টিং উইকেট। নতুন এই গ্রাউন্ডটিতে রয়েছে চারটি উন্নত মানের ড্রেসিং রুম। খেলোয়াড়দের জন্য আইস বাথসহ থাকছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এই গ্রাউন্ডটি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আদলে তৈরি। মাঠের পুরোটাই জুড়ে পানি পরিশোধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিশ্বমানের। রয়েছে
এছাড়াও সাংবাদিক, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারিসহ অফিসিয়ালদের জন্যও থাকছে পৃথক রুম। স্টেডিয়ামের পাশেই রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একাডেমিক ভবন। বিসিবির আঞ্চলিক একাডেমির ক্রিকেটাররা থাকবেন সেই ভবনে। গ্রাউন্ড-১ এর সঙ্গে গ্রাউন্ড-২ এর সংযোগ স্থাপনে নির্মাণ করা হয়েছে ‘আয়রণ ব্রিজ’। নামাজ আদায়ের জন্য মাঠের পাশে এরই মধ্যে মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মাঠের অভিষেকের দিনে লো স্কোরিং ম্যাচ দেখেছে এই মাঠ। তাই উইকেট নিয়ে কিছুটা হতাশ ক্রিকেটাররা।
এ ব্যাপারে ক্রিকেটার পারভেজ ইমন বলেন, আমি সিলেটে কখনো খেলিনি। অভিষেকের দিনে প্রথম খেললাম। মাঠটা অনেক ভালোই লাগছে তবে উইকেটটা স্লো।
নয়নাভিরাম এই স্টেডিয়ামে নির্মিত হবে দেশের প্রথম ক্রিকেট মিউজিয়াম। এছাড়া ফ্লাটলাইট স্থাপন সহ রয়েছে নানা পরিকল্পনা।
এ ব্যাপারে বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানান, আমরা প্রেকটিস গ্রাউন্ডের মত করে শুরু করেছিলাম। আজকে এটা প্রথম শ্রেণীর মাঠের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো ফ্লাটলাইট হবে। আমার প্রত্যাশা আমাদের দেশের যেসব টেস্ট ম্যাচগুলো হয় এবং সিলেটে যে টেস্ট ম্যাচগুলো হবে তখন বিসিবি হয়তো এই গ্রাউন্ড-২ কে অগ্রাধিকার দিবে।
বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, এই মাঠটি খুবই সুন্দর একটি জায়গা। ফ্রেইমটা ভালো এখানে প্লেয়াররা এসেও তারা স্বস্থিবোধ করেন। এখানের আবাসন ব্যবস্থাও ভালো। এবং যাতায়াত ব্যবস্থাও অনেক ভালো।