বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাদুজ্জামান নামের এক শিক্ষার্থী অনশন করছেন এমন খবর শুনে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই খবর শুনে ওই শিক্ষার্থী অনশন ছেড়ে বাবাকে দেখতে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অনশনরত আরও তিনজন শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে তাদের তিনজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তিনজকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিলো।
এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দাড়িয়েছে ছয়জনে। এর একজনকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও বাকি পাঁচজনকেই সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশনরত সকলে অনশনস্থলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শুরু হয় অনশন। এ অনশন এখন গড়িয়েছে ৩১ ঘণ্টায়। এর মধ্যে কোনো সমাধান আসেনি।
তবে বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল তিন দফায় অনশনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকরা অনশনে থাকাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে একটি আন্দোলন হচ্ছিলো। কিন্তু সেখানে কী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে, আমাদের ওপর গুলি চালাতে হলো?
শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, আপনাদের উপস্থিতিতে তখন পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। চাইলে এর আগেই আপনারা আলোচনা করতে পারতেন। কিন্তু ছোট একটা ঘটনাকে আপনারা বড় করলেন। যে কারণে আজ আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। সুতরাং আলোচনার সময় এখন আর নাই। সহমর্মিতাও আমরা চাই না। আগে সংহতি জানান।
তারপর কীভাবে উপাচার্যকে হঠানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।’ শিক্ষার্থীদে সঙ্গে তৃতীয় বারের মতো সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, একটি আইনগত জায়গায় আসতে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমরা শিক্ষার্থীদের এটা বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
শিক্ষার্থীরা আলোচনায় আসতে চাইছে না। তারা সিদ্ধান্তে অনড়, এখন কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা আমাদের কথা মানবে।’ এর আগে রোববার রাতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পর শুরু হয় উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন।
সূত্র: নয়া শতাব্দী