বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ থানার এএসআই রতন মিয়া ও নারী কনস্টেবল বিনতি রাণী নাথকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে শরীরে প্রায় ৭০টি গুলি (মিটবল) নিয়ে হাসপাতালে বেডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এএসআই রতন মিয়া।
এদিকে সংঘর্ষের পর পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন এসব গ্রামের পুরুষরা।
জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেনের সমর্থকরা বৈটিকর বাজারে এসে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
এতে সড়কের দুই পাশে কয়েক শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ২৬৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে। তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে অবরোধকারীরা।
এ সময় লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের রামপা গ্রামের আবদুস সালাম নামে এক রিকশা মেকার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন থানার এএসআই রতন মিয়া, নারী কনস্টেবল বিনা রাণী নাথ ও কনস্টেবল অভিষেক বর্মণ। প্রথমে তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি ঘটায় এএসআই রতন মিয়া ও নারী কনস্টেবল বিনা রানী নাথকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এএসআই রতন মিয়ার শরীরে ৬০/৭০ রাউন্ড গুলি (মিটবল) রয়েছে। বর্তমানে তিনি অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর ২৭ ডিসেম্বর ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা প্রায় ৪০০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি পশ্চিম পাড়া, উত্তর পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, টিকরপাড়া, বারইপাড়াসহ বৈঠিকর বাজারের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পুরুষরা। এতে করে কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো. হারুনূর রশীদ চৌধুরী শুক্রবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, এএসআই রতন শরীরে ৬০-৭০ রাউন্ড গুলি (মিটবল) রয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর