Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-12-08T07:13:03Z
গোলাপগঞ্জলিড নিউজ

গোলাপগঞ্জে ৫০ টাকায়ও প্রার্থী বদল করছেন ভোটাররা

বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জে ৫০ টাকায়ও প্রার্থী বদল করছেন ভোটাররা

ফাহিম আহমদ : প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর পুরো দমে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। গত ২৫ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল। এর আগ থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে টিকেছেন,  তাদের প্রচারণা যেন তিনগু বেড়েছে। আর সেই প্রচারণা শুধু প্রার্থীদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রচারণা চালাতে হলে লাগে ভোটার-কর্মী-সমর্থক। 

গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে বিজয়ী হলে কি ধরণের উন্নয়ন করবেন সে অনুযায়ী লিফলেট তৈরি করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তাদের ভোটার-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে টিম গঠন করেছেন। মেম্বার-মহিলা মেম্বার প্রার্থীরাও টিমও গঠন করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে যাদের দিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে সেই ভোটার-কর্মী-সমর্থকরা নিজ টিমের সাথে ঘুরাঘুরির পরও অন্য একজন প্রার্থী পেলে তার সাথেও ঘুরাঘুরি করছেন। সেটা প্রচারণা শেষে ২০ টাকার নাস্তা বা নগদ ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। 

এ বিষয়ে অনেকের সাথে কথা হয়েছে। উঠে এসেছে তাদের মুখ থেকে বিভিন্ন বিষয়। তারা জানান- 'কোন প্রার্থীই নির্বাচিত হলে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননা। ভোটের দিন এলে যে কোন একজন প্রার্থীকে তো ভোট দিতেই হবে। যে প্রার্থী নির্বাচনের আগের দিন বেশি টাকা দেন তাকেই ভোট দিয়ে থাকি। এর আগ পর্যন্ত যারাই আসেন তাদের সাথে ঘুরাঘুরি করি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘুরে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত মিলে। একজন প্রার্থীর সাথে ঘুরে তো আর লাভ হবে না। তাই টাকার বদলে প্রার্থী বদল করে থাকি। তবে কাউকে হাত থেকে ছাড় দেই না। সবাইকে হাতে রাখি।' 

আব্দুস শুক্কুর নামে এক দিনমজুর জানান-' নির্বাচন এলে সব সময় কাজে যাওয়া হয়না। আমি মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থন করি। ভোটও দেই নৌকায়। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যে প্রার্থী আসেন, তার পিছনে ঘুরি। দিন শেষে ১০০-২০০ টাকা মিলে। আওয়ামী লীগ তো আর আমার পেটে ভাত দিতে পারবে না।' 

শফিকুর রহমান নামে আরও একজন বলেন- 'আমি প্রার্থীদের পিছনে ঘুরিনা। বাড়িতে থাকি। সময় এলে কত প্রার্থী আসবে। সে সময় ঘরে বসে থাকলেও টাকা আসবে।' 

লায়েক আহমদ নামে ভোটারহীন একজন বলেন- 'সারাদিন এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে ঘুরে বিকেল বেলা ২০ টাকার নাস্তা দিয়েছেন। আর সাথে ৫০ টাকা। ভোটার নয়, তারপরও আয় করতে পারি।'
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ