বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক : বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে কমছে স্বর্ণের দাম। আগের তিন সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও স্বর্ণের দাম কমেছে। এতে এক মাসে স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় ৭৯ ডলার বা ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। অবশ্য এই দরপতনের আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তবে টানা চার সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়নি।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বর্ণের পাশাপাশি গত সপ্তাহে রুপার দামও কমেছে। তবে বেড়েছে আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ১২ ডলার। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭৮২ দশমিক ৫৮ ডলার। এক মাস আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১৮৬১ দশমিক ৫০ ডলার। অর্থাৎ এক মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৭৮ দশমিক ৯২ ডলার।
অন্যদিকে গত এক সপ্তাহে রুপার দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১৪ ডলারে। এতে মাসের ব্যবধানে রুপার দাম কমেছে ১২ দশমিক ২১ ডলার। আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৪২ দশমিক ১৫ ডলার। এরপরও মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এদিকে এই দরপতনের আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয় ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৬২ হাজার ৪০২ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৫২ হাজার ৮০ টাকা।
স্বর্ণের এই দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা চলছিল। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিকভাবে তেলের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। এছাড়া চাহিদার বিপরীতে জোগান কম থাকায় বিশ্ববাজার ও দেশীয় বুলিয়ন বা পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম অনেকাংশে বেড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে বলে জানায় বাজুস। অবশ্য স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।