বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দাবী জানিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১নং বাঘা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাদির হোসেন বাবুল। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাঘা গৌরাবাড়ী এলাকার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে এই মতবিনিময় করেন।
এসময় স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী আব্দুল কাদির বাবুল বাঘা ইউনিয়নের ৩টি সেন্টার ঝুকিপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। অনেকে ফেইসবুকে আমার ভিডিও পূর্ণ প্রচার না করে এডিট করে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমি এসব ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, বাঘা ইউনিয়নের পূর্ব বাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি ভোট কেন্দ্র খুবই ঝুকিপূর্ণ । এই দুটি ভোট কেন্দ্রে বিগত দিনেও সংঘর্ষ ও ব্যালট চিন্তাইয়ের মত ঘটনা ঘটেছে। আমি এ দুটি কেন্দ্রে শান্তিরক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, একজন প্রার্থী ইতিমধ্যে বহিরাগতদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন, যা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ওই প্রার্থী বহিরাগতদের নিয়ে এসে শোডাউন দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন।
তিনি বলেন, আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে অনেকে প্রকাশ্যে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি তাদের কর্মী সমর্থকরা আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন ভাবে মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছেন। তারা যাতে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে না যায় এজন্য চাপ প্রয়োগ করছেন।
আমি জনগণের কাজ করতে জনগণের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। এলাকার মুরব্বিয়ান সহ সকলের পরামর্শে আমি এই ইউনিয়ন নির্বাচনে। তাই ষড়যন্ত্র হামলা মামলায় ভয় দেখিয়ে আমার বিজয় ঠেকানো যাবেনা। জনগণ আমার সাথে আছে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রশিদ আলী, মুজিবুর রহমান, কয়ছর আলম, মুহিবুর রহমান মজনু, বদরুল হক, সুহেল আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আর মাত্র ২দিন পর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। শেষ মুহুর্তের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারাভিযানে প্রার্থীদের নিজ নিজ বিজয়ের ব্যাপারে যতটা আশাবাদী তার চেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটার শংকা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এরই মধ্যে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নিজ নিজ বলয় শক্ত করতে ভোটার, কর্মী-সমর্থকদের কাছে নিতে সবধরনের কৌশল প্রয়োগ করে সভা-সমাবেশে শ্রুতিমধুর বক্তেব্যে বিজয় নিশ্চিতে লড়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ধরাশায়ী করতে একাধিক প্রার্থীরা কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি লাটিয়াল বাহিনী গঠন করে কেন্দ্র দখল করার পায়তারা করে চলেছেন এমন অভিযোগও করছেন উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকরা।