বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা-২০২১ এর আঞ্চলিক পর্যায়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছেন, দৈনিক নয়া শতাব্দীর সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিলেট ভয়েসের নিজস্ব প্রতিবেদক শরীফ উদ্দিন তানু মিয়া (শাহ শরীফ উদ্দিন)।
এ উপলক্ষে তাকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে মাইডাস ভবনে টিআইবি'র উদয় পদ্ম কনফারেন্স হলে 'বাংলাদেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা : গণমাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক আলোচনা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশের বিজয়ী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করা হয়।
সাংবাদিক শাহ শরীফ উদ্দিন ২০২০ সালের ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট ও ২ সেপ্টেম্বর সিলেট ভয়েস ডটকমে 'পাথর রাজ্যে মিলেমিশে হরিলুট, দীর্ঘ হয় লাশের সারি' প্রধান শিরোনামের অধীনে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে আট পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক শাহ শরীফ উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বারকোট গ্রামে। তিনি মৃত কুতুব আলীর ছেলে।
এবার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারের জন্য সর্বমোট ৭১টি প্রতিবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রাথম দফার বিচারকার্যে প্রাপ্ত নির্ধারিত নম্বরের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিবেদনসমূহকে চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য মনোনিত করা হয়। পরে চূড়ান্ত মূল্যায়নের পর বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক পর্বের বিচারকমণ্ডলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরীফুজ্জামান পিন্টু ও একাত্তর টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর কবির আহমেদ (সুজন কবির)।
চূড়ান্ত পর্বের বিচারকমণ্ডলী হিসেবে ছিলেন- ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, বৈশাখী টেলিভিশনের প্ল্যানিং কনস্যালটেন্ট জুলফিকার আলি মাণিক, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বার্তাপ্রধান শাহানাজ মুন্নী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হেল্প ডেস্ক (এমআরডিআই) প্রধান মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা (বদরুদ্দোজা বাবু)।
আঞ্চলিক সংবাদপত্র বিভাগে যৌথভাবে বিজয়ী শাহ শরীফ উদ্দিন ছাড়াও খুলনার দৈনিক পূর্বাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার এইচ এম আলাউদ্দিন। অপরদিকে জাতীয় সংবাদপত্র বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকার সাবেক স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ জায়িফ। তিনি বর্তমানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
২০২০ সালের ২৯ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘যেসব হত্যার বিচার হয় না’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য তিনি প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রতিবেদনটিতে তিনি ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে ৩৮৮০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন (সিএফজি) বিষয়ে জাতীয় সংবাদপত্র বিভাগে একজন এবং টেলিভিশন বিভাগে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। টেলিভিশন প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ক্যামেরাপারসনের বিশেষ ভূমিকার জন্য এ বছরের দুটি টেলিভিশন প্রতিবেদনের জন্য দুইজন ক্যামেরাপার্সনকেই বিচারকমণ্ডকলীর সুপারিশে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এদিকে, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান বিভাগে বিচারকদের সুপারিশে যৌথভাবে দুটি প্রামাণ্য প্রতিবেদনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিজয়ী প্রতিটি প্রামাণ্য প্রতিবেদন আলাদা সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট পাবে এবং সর্বমোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার সমান দুইভাগে ভাগ করে প্রদান করা হবে।