বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক : বিশ্বনাথে একটি ফার্মেসীতে সামান্য ত্রুটির কারনে ১০হাজার টাকা জরিমানা করে বিপাকে পড়েন ভ্রাম্যমান আদালত। এনিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে ফার্মেসীর মালিকের কথা কাটাকাটি শুরু হলে দ্রুত পালিয়ে যান তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ’ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক মো: আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমান আদালতের টিম বিশ্বনাথে আসেন।
তারা প্রথমে বিশ্বনাথ নতুনবাজারস্থ মাদানিয়া মাদরাসা মার্কেটে কিসমত ট্রেডার্স এন্ড মমতা বীজ ঘর তল্লাশি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ বেশ কিছু ঔষধ ও বীজ পেয়ে ২০হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে পিউরিয়া নামক মিষ্টির দোকানে অব্যবস্থাপনা থাকায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন। তার পরই আপন ফার্মেসীতে তল্লাশি করে ২২৫টাকা মূল্যের একটি শিশু খাদ্যের মেয়াদ শেষ দেখতে পেয়ে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এই ফার্মেসীর মালিক হচ্ছেন বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট। তিনি ২২৫ টাকার শিশু খাদ্যের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা ঠিক হয়নি বলে কথা কাটাকাটি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে পরিচালককে বিশ্বনাথে সকল ফামের্সী তল্লাশী করার কথা জানালে মো: আমিরুল ইসলাম মাসুদ দ্রুত তার টিমের সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
নাছুড়বান্দা মুহিবুর রহমান সুইট তার পিছু নিয়ে বার বার বলতে থাকেন আপনি সব ফার্মেসী তল্লাশি করে যেতে হবে। অন্যতার আমার প্রতিপক্ষের ইশারায় আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই জরিমানা করেছেন। এমন কথা শুনে শুনে ভ্রাম্যমান আদালতের সদস্যরা গাড়িতে উঠে সিলেটের দিকে দ্রুত গাড়ি ছেড়ে চলে যান। তাদের এমন ধাওয়ার অবস্থা দেখে বাজারের সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে হাসি ঠাট্টা করছিলেন। বেরসিক একজন পথিক মন্তব্য করলেন এ ধরনের কা পুরুষ আর জীবনে দেখিনি।