বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জের পৌর এলাকায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গৃহবন্দি হয়ে বসবাস করছে ৫ / ৭টি পরিবার। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় এই পরিবারগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, পৌর এলাকার কদমগাছের তলস্থ সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর আওতাধীন গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের পিছনে দীর্ঘ ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে এই ৫ / ৭টি পরিবার বসবাস করে আসছিল। তারা রাস্তা হিসেবে পল্লী বিদ্যুত গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের পাশ দিয়ে চলাচল করে আসছিল। গত এক বছর ধরে পল্লী বিদ্যুত অফিস উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে চতুর্থ দিকে বাউন্ডারি ওয়াল তুলে দেয়। এরপর বাউন্ডারির পাশ দিয়ে একটি ছোট রাস্তায় চলাচল করলে এই রাস্তাটিরও শেষ অংশে একজন ব্যক্তি তার জায়গা দাবি করে রাস্তায় ওয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে অফিসের বাউন্ডারি ওয়ালের একটি গেইট দিয়ে তারা চলাচল করলেও পল্লী বিদ্যুত অফিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই গেইটও ১৫ থেকে ২০ দিনের ভিতরে বন্ধ করে দেওয়া হবে
এই গেইটটিও বন্ধ করে দেওয়া হলে এই পরিবারগুলোর লোকজন পুরোপুরি গৃহবন্দি হয়ে পড়বে। অসহায় পরিবারগুলোর লোকজন জেলা প্রশাসন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাগঞ্জ, পল্লী বিদ্যুৎ গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিস সহ বিভিন্ন অফিসে মানবিক কারণ বিবেচনা করে অফিসের পাশ দিয়ে একটি রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানালেও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা তারা। এতে পরিবারগুলো জিম্মি হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী একটি পরিবারের সদস্য আলাউদ্দিন উদ্দিন জানান, আমার পরিবার ৩৬/৪০ বছর ধরে এই জায়গায় বসবাস করে আসছিলাম। দীর্ঘদিন পল্লী বিদ্যুৎতের পিডিবিতে চাকুরী করেছি। বর্তমানে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেছি। জীবনের শেষ মূহুর্তে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ভাবতে পারিনি। আমরা ৬/৭টি পরিবার আজ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি। আমি মানবিক কারণ বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হাফিজ জানান, পল্লী বিদ্যুৎ বাউন্ডারি তুলার পর আপাততের জন্য ছোট একটি রাস্তা ব্যবহারের জন্য দেয় কিন্তু এই রাস্তাটিরও শেষ অংশে একজন ব্যক্তি তার মালিকানা দাবি করে একটি ওয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়৷ আমরা কয়েকটি পরিবার আজ বড় অসহায়। পল্লী বিদ্যুৎ এই বাউন্ডারির ভিতরের রাস্তাটিও শুনেছি বন্ধ করে দিবে। আমার মা অসুস্থ, উনাকে প্রায় ডাক্তার দেখাতে নিতে হয়। যদি এই রাস্তাটিও বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে ঘরবন্দি হয়ে মরা ছাড়া উপায় নেই।
জি ভয়েস/জাহিদ