বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা থেকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সবত্র হালকা বৃষ্টি ও মৃদু বাতাস বইছে। সোমবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
টানা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি কারণে ঘর হতে বের হতে পারছেন না মানুষ। যারা দিনমজুর তাদেরও কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। সড়কে বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার খুব একটা দেখা মিলছে না। সকাল বেলা অফিসগামীদেরও পড়তে হয়েছে ভোগান্তির মধ্যে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও সময় মত স্কুলে পৌঁছাতে পারেনি। এ বৃষ্টিতে আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের চৌমুহনীতে গেলে দেখা যায়, ব্যস্ত শহর অনেকটা ফাঁকা। সড়কে গাড়ির তেমন যানযট নেই।
আলমগীর হোসেন নামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক বলেন, 'সকাল থেকে এক টানা বৃষ্টি। অন্যান্য দিন যা আয় হয়, দুপুর হয়ে গেলেও তার একভাগ আয় হয়নি। মানুষ খুব কম বাইর হচ্ছে বাড়ি থেকে।'
তামিম আহমদ নামে এক বেসরকারি চাকুরীজীবি বলেন, ' সকালে বৃষ্টির কারণে অফিসে যেতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। গাড়ির সংকট ছিল সকাল বেলা।'
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব থাকবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত।এই দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।