বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট নগরীর বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টে এলাকায় ৬ বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয় একটি ফুট ওভারব্রিজ। উদ্বোধনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ব্রিজটি রূপ নেয় ছিন্নমূল পাগল ও মাদক সেবীদের আস্তানায়। এছাড়া ব্রিজটির ওপর জমে থাকা ময়লার স্তুপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। যা পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে।
২০১৫ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের একান্ত ইচ্ছায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সিলেটের প্রথম ফুট ওভারব্রিজ। এরপর ছয় বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে ব্রিজটি। অপরিকল্পিত এ ব্রিজটি নির্মাণের আগে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে কেউ তা কর্ণপাত করেনি। স্টিলের কাঠামোয় নির্মিত ব্রিজের বিভিন্ন প্রান্তে ওঠা নামার জন্য রয়েছে ছয়টি সিঁড়ি।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্রিজের সবকটি সিড়িতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। ঘুমিয়ে আছে ভাসমান লোকজন। অনেক ছিন্নমূল মানুষই এ জায়গাটিকে পশ্রাব-পায়খানার স্থান হিসেবেও ব্যবহার করছেন।
স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী শামসুল জানান, এই ব্রিজ ঝাড়ূ দিতে কাউকে দেখা যায় না। রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় অনেকেই সিড়িতে আবর্জনা ফেলে যান। রাতে ব্রিজটি অপরাধী ও ভাসমান মানুষের দখলে চলে যায়।
আব্দুল করিম নামের এক প্রহরী জানান, সন্ধ্যা হলেই মাদকসেবীরা ব্রিজে উঠে মাদক সেবন করে। অনেক সময় ময়লা আবর্জনা পথচারীদের মাথার উপর ছুড়ে ফেলে তারা। ফলে অনেকেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ওভারব্রিজটি হয়তো অপসারণ করবে, না হয় রক্ষণাবেক্ষন করবে। কিন্তু সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এর কোনটাই করছেনা। তিনি এই ব্রিজের ব্যাপারে এখনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ফুট ওভারব্রিজটি বিক্রির জন্য দুই দফা নিলাম আহ্বান করা হয়। কিন্তু ২২ লাখ টাকার বেশি কেউ দিতে চায়নি। চাহিদা মতো দাম না পাওয়ায় এটি বিক্রি করা হয়নি। আপাতত ফুট ওভারব্রিজটি স্থানান্তরেরও কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে তিনি ময়লা আবর্জনা পরিস্কার ও রক্ষণাবেক্ষনে ব্যপারে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
সংবাদ সূত্রে : রিজিংবিডি