বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম না মানায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ডাকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে সিলেটেজুড়ে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
গোলাপগঞ্জেও ধর্মঘটে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চলছে পরিবহন ধর্মঘট। সকাল থেকে শ্রমিকরা মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তাদেরকে আটকে রাখছেন তারা। এদিকে ধর্মঘট থেকে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে পুলিশের অবস্থানও লক্ষ্য করা গেছে।
ধর্মঘটে অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষ। ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি সড়কে চলতে দেখা গেছে। গাড়ির কারণে চাকুরীজিবীরা তাদের চাকরিস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না। বিলম্বনায় পড়তে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরও। অনেকে গাড়ির কারণে দেরি করে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছেন। আবারও পরীক্ষা শেষে গাড়ি না পেয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি যেতে হয়েছে। তবে সড়কে প্রচুর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। গোলাপগঞ্জ থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে নিচ্ছে মোটরসাইকেল।
সরেজমিন পৌর শহরের চৌমুহনীতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য। বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন তারা। গাড়ি না পেয়ে যাত্রীদের এক ধরণের ভোগান্তি, বাড়তি ভাড়ায় আরেক ভোগান্তি।
কয়েকজন অসহায় যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, 'গোলাপগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছে। অটোরিকশা আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় ১০ টাকার বদলে ২০ টাকা, ২০ টাকার বদলে ৩০-৪০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।'
রাহেল আহমদ নামে এক যাত্রী জানান, 'গোলাপগঞ্জ থেকে সিলেট জনপ্রতি ১০০ টাকা আদায় করছেন। অসহায় হয়ে পড়েছি আমরা।'
অটোরিকশা চালক কয়ছর আহমদ বলেন,' আমরা কোন বাড়তি ভাড়া আদায় করছি না। কারো কাছ থেকে জোর করেও ভাড়া নিচ্ছি না।'
মোটরসাইকেলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, 'তেলের দাম বেশি। লিটার কিনতে হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা করে।'
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুশংকর পাল বলেন, 'ধর্মঘটে যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মাঠে রয়েছে।'