বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও চলছে ৪৮ ঘণ্টার বাস-ট্রাক ধর্মঘট।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে সিলেট থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এতে করে ভোগন্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
আঞ্চলিক সড়কেও বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ।
তাই হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে সিলেটে আসা পর্যটকরা বিপাকে পড়েছেন।
তারা না পারছেন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখতে, না পারছেন বাড়ি ফিরতে।
এ অবস্থায় অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনে যাত্রা করছেন।
তাই ধর্মঘটে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ট্রেনে আসন সংকট থাকলেও অসংখ্য যাত্রীকে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে।
নরসিংদী থেকে আসা সিয়াম আহমদ নামের সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে জাফলং ভ্রমণের উদ্দেশে শুক্রবার ভোরে মাইক্রোবাসে সিলেটে এসে পৌঁছাই। কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এখন বাড়ি ফিরে যেতেও পারছি না।
ঢাকার আদাবরের বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, চার-পাঁচজন বন্ধুসহ বৃহস্পতিবার রাতে তারা সিলেটে এসেছেন। কিন্তু শুক্রবার কোথাও বেড়াতে যেতে পারছেন না। যানবাহন বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতেও পারছেন না। ট্রেনেও টিকিট নেই। তাই সিটবিহীন স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যেতে হবে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, করোনাকালে পরিবহনখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। করোনা পরিস্থিতির উত্তরণ হওয়াতে পরিবহণ খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, ঠিক তখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে পরিবহণ ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। সাধারণ মানুষও ক্ষতির ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ফলে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো।
ধর্মঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সুনামগঞ্জ সড়কে কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল এলাকাসহ নগরের প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।