Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-11-19T18:19:48Z
গোলাপগঞ্জ

শীতের আগমনে গোলাপগঞ্জে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ : দিনে গরম, রাতে কুয়াশার শীতল হাওয়া আর ভোররাতে ঘন কুয়াশার হাতছানিই বলে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সন্ধ্যা হলে মানুষের শরীরে খুব ভারি গরমের কাপড় দেখা না গেলেও হালকা গরমের কাপড় পড়তে দেখা যায়। শেষ রাতে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব হয়। এজন্য রাতে আরামের ঘুমের জন্য অনেককে কম্বল, লেপ গায়ে দিতে হয়। 

এদিকে শীত এলে লেপ-তোশকের দোকানগুলোর কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এমনই বাস্তবতায় গোলাপগঞ্জেও প্রত্যেকটি লেপ-তোশকের দোকানের কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন ৫-৬ টি অর্ডার আসছে। সারা বছর তাদের ব্যস্ততা কম থাকলেও শীতের সময় বাড়তে থাকে ব্যস্ততা। 

মানুষের ভিড় বেড়ে যায় লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে। কেউ নতুন লেপ অর্ডার দিতে, কেউবা নিজের পুরাতন লেপে তুলা যোগ করে মেরামত করার জন্য নিয়ে হাজির হন দোকানে।  

সরেজমিন উপজেলার গোলাপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন লেপ-তোশকের দোকান ঘুরে দেখা যায়, কারিগরদের লেপ তৈরির কর্মব্যস্ততা। ২-৪ জন করে কারিগর বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ তুলো ধুনছে, কেউবা ব্যস্ত লেপ-তোশক সেলাইয়ের কাজে আবার কেউবা লেপে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন। 

লাঠি দিয়ে লেপের তুলো ধুনছেন কারিগর সাদিকুর রহমান। মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন একটি বেডিং এর দোকানে। কথা হলে তিনি বলেন, 'কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে। একটি লেপ একা তৈরি করতে ঘন্টাখানেক সময় লেগে যায়। প্রতিদিন ৪-৫ টি লেপ তৈরি করি।' 

নতুন লেপ অর্ডার দিতে আসা সজল আহমদ নামে একজন বলেন, 'ঠান্ডা পড়ায় লেপের দরকার লাগছে। ৮০০ টাকা দিয়ে একটি লেপ অর্ডার দিয়েছি।' 

হবিগঞ্জ বেডিং স্টোরের মালিক মো. আলাই মিয়া বলেন, 'দুইটা দোকান আছে আমার। শীতের সময় যত ঘনিয়ে আসছে লেপ-তোশকের অর্ডার আসছে। প্রতিদিন ৮-১০ টি অর্ডার আসে। তুলা অনুযায়ী একেকটি লেপ তৈরি ৭০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত। পুরাতন লেপ তুলা মিশিয়ে ৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।'

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ