বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপ লাইনের ওপরে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তৈরি করা হবে নাগরিকদের হাঁটার পথ বা ‘ওয়াকওয়ে’। সে লক্ষ্যে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সিলেট সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ৫ম দিনের মত চলছে উচ্ছেদ অভিযান। প্রতিদিন গড়ে ৪০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
জালালাবাদ কর্তৃপক্ষ জানায়, দেবপুর-কুমারগাঁও উচ্চ চাপ বিশিষ্ট ৪০০ কি.মি. গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণ করা ভূমি রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণ করা ভূমির প্রায় ৩০ কিমি. পাইপলাইনের ওপর অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর, বাড়ি, দোকান কোঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ছিল। এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ, ২৬ আগস্ট ও ১৫ই সেপ্টেম্বর ৩ দফা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় ২০ কিমি. পাইপ লাইনের ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন যুক্ত হয়ে অবশিষ্ট জায়গা উদ্ধারে নেমেছে জালালাবাদ গ্যাস।
অধিগ্রহণ করা ভূমিতে স্থাপিত বসতবাড়ির উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম জানান, গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে নূন্যতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধি বর্হিভূত। এই ভূমির মালিক জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অথচ দীর্ঘ দিন থেকে ওই জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এমনকি স্ট্যাম্প সম্পাদন করে ক্রয় বিক্রিও চলছে। দুর্ঘটনা এড়াতে পাইপের ওপর থেকে স্থাপনায় উচ্ছেদ জরুরি। এরজন্য পাইপ লাইনের উপর স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
অন্যদিকে, চলমান উচ্ছেদ অভিযান সরাসরি তদারকি করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রতিদিন উচ্ছেদ অভিযান তিনি পরিদর্শন করেন। আরিফুল হক চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন থেকে জালালাবাদ গ্যাসের পাইপ লাইনের ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করে ভোগ দখল করে আসছিলেন একটিপক্ষ। সিসিকের পক্ষ থেকে জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণ করা এসব জায়গা পুনুরুদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।
মেয়র জানান, যেহেতু এসব জায়গা পুনরায় দখল হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা জায়গায় নগরবাসীর জন্য দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, ধীরগতির যান চলাচলের জন্য লেন ও ফুটপাত নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সিলেট নগরীর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে।