বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাদক চোরাচালন নিয়ন্ত্রণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা। তারা সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি চিহ্নিত করে লাল রঙের লেখা ডিজিটাল সাইনবোর্ড বসিয়েছে। উপজেলার অন্তত ১০ মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’; ‘চোরাকারবারির বাড়ি’ লেখা এসব সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং মাদক চোরাচালান থেকে বিরত থাকবে।
সোমবার সকাল থেকে হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের মনতলা, হরিণখোলা ও রাজেন্দ্রপুর বিওপির সদস্যরা বিভিন্ন গ্রামের ১০টি বাড়িতে গিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে। দিনব্যাপী মাদক ও চোরাকারবারিদের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর, বাড়ির প্রবেশের রাস্তায়, দেওয়াল ও গাছে লাল রঙের ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ডে লাগানো হয়।
চিহ্নিত করা ১০টি বাড়ি হচ্ছে- মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের বলু মিয়া, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আহাদ মিয়া, শ্রীধরপুর কবির মিয়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ধনু মিয়া, রামনগর গ্রামের কাউছার মিয়া, রামনগর গ্রামের জয়নাল মিয়ার, রামনগর গ্রামের সফু মিয়া, কমলপুর গ্রামের স্বপন মিয়া, খালেক মিয়ার, জানু মিয়ার বাড়ি। এই ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়েছে।
বিজিবির এই উদ্যোগের ফলে বেশ সুফল মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত প্রত্যেকের বাড়িতেই যেনো এভাবে চিহ্নিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চলতি মাসে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন খেকে নিয়মিত এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিজিবির মনতলা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু বকর, হরিণখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাদেক আলী এবং রাজেন্দ্রপুর ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল হাফিজের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এ মাদকবিরোধী সচেতনামূলক অভিযানে গিয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাদক সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি এসব সাইবোর্ড যেন কেউ তুলে না ফেলে বা মুছে না ফেলেন সে বিষয়েও কঠোর হুঁশিয়ারি করা হয়।
এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিজিবি হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী জানান, বিজিবির হাতে ধরা পড়া চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়িতেই এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ মাদক নির্মূলে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন।