বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পাঁচজন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীর মনোয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সারাদিন মনোনয়ন যাচাই-বাচাই শেষে বিকেলে এ ঘোষণা দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন, তহমিনা খাতুন, রোম্মান মিয়া ও অনুজ চক্রবর্তী।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে ৬০জন প্রার্থী, ৩৬৬জন সাধারণ সদস্য ও ৭৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বমোট ৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর আলোকে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি বলে জানানো হয়। মনোনয়ন অবৈধ হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। অপর দুইজনের মধ্যে একজন মোল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী এবং অপরজন আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী।
মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন- চারখাই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় প্রার্থী মো. জাকির আহমদ, কুড়ারবাজার ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আইনুল হক ও মাথিউরা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া। এর মধ্যে জাকির আহমদের বয়স ২৫ বছর না হওয়ায় এবং অন্য দুজনের ঋণখেলাপীর অভিযোগ থাকায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া মোল্লাপুর ইউনিয়নের একজন সাধারণ সদস্য প্রার্থীর ঋণখেলাপীর অভিযোগ থাকায় এবং ২৫ বছর বয়স না হওয়ায় আলীনগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী লিপি বেগমের প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর আলোকে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি বলে চারখাই, কুড়ারবাজার ও মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, মোল্লাপুর ইউনিয়নের একজন সাধারণ সদস্য ও আলীনগর ইউনিয়নের একজন সংরক্ষিত সদস্য মিলে সর্বমোট ৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ বলে ঘোষণা করেছি। তবে এসব প্রার্থীরা আগামী তিনদিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ পেলেও বয়স না হওয়া এবং ঋণখেলাপীর অভিযোগ থাকায় তাদের মনোনয়ন ফিরে আবার সুযোগ নেই। সে হিসেবে তাদের মনোনয়ন বাতিল ঘোষিত হবে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা না দিলেও দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন এইচএসসি পরীক্ষার কারণে ২৩ ডিসেম্বর থেকে তিনদিন পিছিয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী ওই দিনেই বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ হবে বলে জানা গেছে।