বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট বিভাগের পাম্পগুলোতে জ্বলানি তেল শূন্য হলেই ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি। সোমবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুলে একটি কনভেনশন হলে বৈঠক করে কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট নিরসনে জরুরি বৈঠক করে ২৬ অক্টোবর কমিটির পক্ষ থেকে সংকট নিরসনে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা। ধর্মঘটে জনভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে সেই কর্মসূচি থেকে আপাতত সরে এসেছেন। তবে সিলেট বিভাগের পাম্পগুলোতে জ্বলানি তেল শূন্য হলেই ধর্মঘট ডাকা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটি ও বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সরবরাহ আছে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ লিটার। বর্তমানে যে তেল সরবরাহ হচ্ছে, তা সিলেটের চারটি ডিপোর মধ্যে ভাগ করে নিতে হয়। এর জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানই তাদের গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তাদের ধারণা, দেশে তেলসংকট না থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই কৃত্রিমভাবে এ সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ জন্য জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোম্পানির জেলা বিপণন কর্মকর্তারা দায়ী। দায়ী ব্যক্তিদের অপসারণের দাবিও করে তারা।
বৈঠকে সংগঠনটির সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন খান মো. ফরিদ উদ্দিন, নুরুল ওয়াছেহ আলতাফী, হুমায়ুন আহমেদ, সায়েম আহমেদ, জুবের আহমেদ চৌধুরী, রিয়াশাদ আজিম হক, সিরাজুল হোসেন আহমদ, সাহেদ আহমদ চৌধুরী, এনামুল হক রুবেল, রিয়াদ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, আখতার ফারুক, লোকমান আহমদ, আফজাল আহমদ, আবদুল কুদ্দুস তালুকদার, আবদুল মুমিন, ফয়জুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ইউনুস আলী, নাদিম রহমান, জহির উদ্দিন মো. বাবর, মশিউর রহমান, মো. ছানাওয়ার আলী প্রমুখ
সূত্র : প্রথম আলো।