বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জে নৌকার মান রাখলেন শ্রমিক নেতা আব্দুল করিম খান। ৭নং লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সরকার দল আওয়ামীলীগের পক্ষে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার মত কোন প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
গত ১৫ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে সব ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য একাধিক ব্যক্তি ইচ্ছা পোষণ করলেও লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করার লক্ষে কেহ এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত পরিববহন শ্রমিক নেতা আব্দুল করিম খান এগিয়ে এসে অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বললেন তাকে নৌকা প্রতীক দিলে তিনি প্রার্থী হবেন।
আব্দুল করিম খানের মত একজন দরিদ্র লোক চেয়ারম্যান পদে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন বিষয়টি নিজ ইউনিয়ন সহ উপজেলা জুড়ে সর্বমহলে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।কারণ অন্যান্য ইউনিয়নে যখন নৌকা প্রতীক নিয়ে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদন্ধিতা চলছে ঠিক সেই মূহুর্তে লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার মত প্রার্থী খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল করিম লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বিদাইটিকর গ্রামের অধিবাসী। অর্থনৈতিক ভাবে তিনি খুব একটা সচ্ছল নন। এক সময়ে গাড়ী চালিয়ে পরিবার পরিজনের ভরণ-পোষণ করতেন। এখন ঢাকাদক্ষিণ বাজারে ছোট একটি মুদির দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অন্যান্য প্রার্থীরা যখন নির্বাচনী বাজেট হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকার অংক কষছেন ঠিক সেই মূহুর্তে একেবারে শূন্য হাতে আব্দুল করিম খান নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলার অন্যতম বৃহৎ ইউনিয়ন লক্ষণাবন্দে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুল করিম খান বলেন আমি দলের প্রতি অনুগত্যশীল, আমি আগেই অনেককে বলেছি আমার ইউনিয়নে নৌকা নিয়ে কেহ নির্বাচন করতে না চাহিলে আমি করব। দলের কমিটি গঠনের সময় নেতারা মারামারিতে ব্যস্থ হয়ে পড়েন।সরকারি দান অনুদান নিতে তাদের মধ্যে প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে যায়। অথচ স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করার মত সাহস আমার ইউনিয়নে নেতাদের মধ্যে নেই কেন এ প্রশ্ন আজ সভার মধ্যে।
তিনি বলেন অর্থের দিক দিয়ে আমার কমতি থাকতে পারে, জনগণ আমার মত একজন সহজ-সরল নিবেদিত প্রাণ সমাজকর্মীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে, আমি তা বিশ্বাস করি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারিত হলে শুধু আওয়ামীলীগ নয়, বিভিন্ন দল ও সর্বস্থরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।